পটুয়াখালীর পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে যন্ত্রপাতি আমদানির নামে মদ-বিয়ারের একটি বড় চালান আটকে দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে এই চালানের ১৯টি কার্টনের মধ্যে ১৮টিতেই মাদকদ্রব্য পাওয়ার অভিযোগে চালানটি আটক করা হয়েছে।
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আনায় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে বন্দর এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় জাহাজে থাকা সব পণ্যের কায়িক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ জুলাই বন্দরের ৩ নম্বর জেটিতে পানামা পতাকাবাহী এমভি কিউ জি-শান জাহাজ থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতির নামে আনা চালানটি খালাসের সময় একটি বাক্সের একাংশ ভেঙে মদ-বিয়ার বেরিয়ে পড়ে। এরপরই তিনটি লাইটার জাহাজ আটক করা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরে আসা এমভি কিউ জি-শান নামের জাহাজটিতে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ থাকার কথা। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এসব যন্ত্রপাতির আমদানিকারক চায়না-বাংলাদেশ পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি।
চীন থেকে আসা জাহাজটি পরিদর্শনে গিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা ২৪ জুলাই প্রাথমিকভাবে ১৯টি কার্টন খুলে দেখেন। এরমধ্যে ১৮টিতেই বিদেশি মদ আর বিয়ারের সন্ধান পান তারা। মদ ছাড়াও জাহাজটিতে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য রয়েছে বলেও জানা গেছে। অথচ চীনের এই প্রতিষ্ঠানটি তার কোনো ঘোষণাই দেয়নি।
বিদেশি প্রতিষ্ঠানের এমন অনৈতিক কাজে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন শুল্ক কর্মকর্তারা।
কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু সরকারি প্রকল্পের জন্য যন্ত্রপাতি আমদানি করলে শুল্ক রেয়াত পাওয়া যায়, তাই শুল্ক ফাঁকি দিতে মেশিনারিজের আড়ালে মাদকদ্রব্য আনা হয়েছে।
পি