ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) সদস্য ও সাংবাদিক সোহানা পারভীন তুলির অস্বাভাবিক মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংগঠনের সভাপতি মামুন ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, সোহানা পারভীন তুলির ঘটনাটি আপাতত আত্মহত্যা মনে হলেও এর পেছনের রহস্য এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
সাংবাদিক তুলি কর্মনিষ্ঠ, প্রাণোচ্ছল ও মেধাবী একজন সংবাদকর্মী ছিলেন। আমরা মনে করি, তার এই মর্মান্তিক মৃত্যু সংবাদ জগতের একটি অপূরণীয় ক্ষতি। এ রকম প্রাণোচ্ছল একজন সংবাদকর্মী আত্মহত্যা করতে পারেন- তা আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য। এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে।
সংগঠনটির নেতারা আরও বলেন, ইতোমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তদন্ত সংশ্লিষ্টদের প্রতি আস্থা রাখতে চাই যে- অচিরেই এই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ আমরা জানতে পারব। এর পেছনে কেউ প্ররোচনাকারী থাকলে তার দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করা গেলে তা সাংবাদিক সমাজের জন্য স্বস্তি দায়ক হবে। কোনো সহকর্মীর এ রকম মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নেওয়া সত্যিই অসম্ভব। এই অকাল মৃত্যু আমাদের গভীর বেদনার কারণ। আমরা তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন সোহানা তুলি। তিনি দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক কালের কণ্ঠে কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি ২০২১ সালের মে পর্যন্ত বাংলা ট্রিবিউনে কর্মরত ছিলেন। এরপর কিছু দিন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। সম্প্রতি একটি অনলাইন শপ খুলে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তুলি।