ঢাকারোববার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আয়াতুল কুরসির ফজিলত

আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ০৪ অক্টোবর ২০২২ , ০৯:২৮ এএম


loading/img

মহাগ্রন্থ আল কোরআন। পবিত্র কোরআনে মোট ১১৪টি সূরার ৬৬৬৬টি আয়াত রয়েছে, যার সবগুলোই ফজিলতপূর্ণ। পাশাপাশি প্রত্যেকটি আয়াতের আলাদা আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। এর মধ্যে সুরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত আয়াতুল কুরসি অন্যতম। পবিত্র কোরআনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আয়াত বলা হয় আয়াতুল কুরসিকে।এ আয়াত পাঠের ফজিলত অসংখ্য।

বিজ্ঞাপন

اللّهُ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

উচ্চারণ : আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ ওয়ালা নাঊম। লাহূ মা ফিস্ সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ’ ই’ন্দাহূ ইল্লা বিইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতূনা বিশাইয়্যিম্ মিন ‘ইলমিহি ইল্লা বিমা শা-আ’ ওয়াসিআ’ কুরসিইয়্যুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, ওয়ালা ইয়াউ’দুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়্যুল আ’জিম। সূরা আল-বাক্বারা আয়াত-২৫৫

বিজ্ঞাপন

অর্থাৎ, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি সবকিছুর ধারক। তাকে তন্দ্রা-নিদ্রা কিছুই স্পর্শ করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে, সবই তার।এমন কে আছো যে সুপারিশ করবে তার কাছে তার অনুমতি ছাড়া? চোখের সামনে কিংবা পেছনে যা কিছু রয়েছে, সবই তিনি জানেন। তার জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তার কুরসি (সিংহাসন) সমস্ত আসমান ও জমিনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। সেগুলোকে ধারণ করা তার পক্ষে কঠিন কিছু নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।

হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে ওই ব্যক্তির জন্য জান্নাতে প্রবেশ করা মৃত্যু ছাড়া আর কোনো কিছু বাধা থাকবে না।’ (বুখারি, নাসাঈ, তাবারানি)।

এ ছাড়া হাদিসে আয়াতটি দিন ও রাতে বারবার পড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য, এই পবিত্র আয়াতটিকে প্রতিদিনের অজিফা (ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর যেসব দোয়া ও আমল প্রতিদিন পাঠ করা হয়) বানিয়ে নেওয়া।

বিজ্ঞাপন

আল্লাহতায়ালা মহাগ্রন্থের পবিত্র এ আয়াত থেকে আমাদের উপকৃত হওয়ার তাওফিক দিক। আমিন।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |