দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের বাজেটের ২ শতাংশ গবেষণায় ব্যয়ের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে ইউজিসির সংশ্লিষ্ট পরিচালক মো. ওমর ফারুখ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম শর্ত থাকে গবেষণা খাতে অর্থ ব্যয় করতেই হবে।
তিনি বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই এ খাতে অর্থ ব্যয় করছে না। তারা বরাদ্দও রাখছে না। এ কারণে কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে যে, তাদের বাজেটের দুই শতাংশ ব্যয় গবেষণা খাতে করতে হবে।
কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এ খাতে ব্যয় না করে তাহলে সেটা সাময়িক সনদ বাতিলের মতো অপরাধ হবে জানিয়ে ওমর ফারুক বলেন, ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৯-এর ৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেটের ব্যয় খাতে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত একটি অংশ গবেষণার জন্য বরাদ্দ অর্থ ব্যয় করতে হবে।’
দেশে বর্তমানে ১০৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন থাকলেও চালু আছে ১০০টি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্তত ৪৮টিতেই কোনো গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নতুন জ্ঞান সৃষ্টিই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ। গবেষণার মাধ্যমেই নতুন জ্ঞান তৈরি সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় গবেষণার ক্ষেত্রে এমন দশা থাকলে স্কুল-কলেজগুলো কেবল পাঠদানের প্রতিষ্ঠানেই পরিণত হবে। এজন্যই ইউজিসি এখন এই খাতে বরাদ্দে তোড়জোড় শুরু করেছে। এটা শিক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।