ছেলেটি ছোট ছোট কমলালেবুসহ তার ট্যাবে খেলার সময় পড়তে এবং গণনা করতে শিখেছে। পরবর্তীতে সে যুক্তরাজ্যের মেনসার সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
টেডি হবস, পোর্টিশহেড সমারসেট এলাকার চার বছর বয়সী সন্তান। একবার কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী তাদের বাড়িতে এলে তার বাবা-মা স্বাস্থ্যকর্মীকে বলেন, বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগেই যেন তাদের সন্তান মূল্যায়িত হতে পারে। ফলশ্রুতিতে যে কি না পরে উচ্চ আইকিউ স্কোর ক্লাবের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হয়ে উঠেছেন।
টেডি যে কি না মাত্র দুই বছর (২৬ মাস) বয়সেই তার বাবা-মার সাহায্য ছাড়াই টেলিভিশন দেখেই এবং তার ট্যাবলেটে খেলা করেই পড়তে ও বলতে শিখেছে।
টেডি মা বেথ হবসের দাবি, তারা প্রাথমিকভাবে ভেবেছিল সে (টেডি) তার ট্যাবলেট বাজানোর সময় শব্দ করছে। তারা বুঝতে পারার আগেই টেডি চীনা ভাষায় শব্দ বের করছে।
তিনি জানান, আমারা করোনার পর তাকে নার্সারিতে পড়তে পাঠাই। তখন আমরা ভেবেছিলাম, কীভাবে পড়তে হয়, তা সে শিখেছে। পরে নার্সারি থেকে একটি ফোন আসেন, যেটি প্রাক-স্কুলের এক শিক্ষকের ছিল। তিনি বলেছিলেন, 'হ্যাঁ, টেডি পড়তে পারেন!' পরে এ ঘটনা আমাদের অবাক করেছিল।
তিনি আরও জানান, একবার টেডি তার ট্যাবলেটে বাজাচ্ছিল। তখন ওই শব্দ আমি চিনতে পারিনি। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, এটা কি? পরে টেডি বলল, 'আমি ম্যান্ডারিনে গণনা করছি।'
মাত্র তিন বছরে মেনসার সদস্য হন টেডি। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে সংগঠনটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্যও তিনি।
টেডির মতো উচ্চ বুদ্ধিসম্পন্ন শিশুরা বড় হলে আসলে কী হয়? এর আগেও এমন শিশুদের দেখা মিলেছে। বড় হয়ে তারা সফলতার স্বাক্ষরও রাখছেন।
ক্রিস্টোফার গুয়েরিন, ২০০২ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে টিভি শোতে ব্রিটেনের সবচেয়ে বুদ্ধিমান শিশুর স্বীকৃতি পান। এখন তিনি একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিতের প্রধান। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতের ওপর তিনটি ডিগ্রি নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে পিএইচডি করছেন তিনি।
শুধু টেডিই না। তার সংবাদ গণমাধ্যমে আসার পর এ ধরনের আরও প্রায় ৩৮টি শিশুর সন্ধান মিলেছে।