ঢাকারোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

বেসরকারি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি

অনুপস্থিত শিক্ষকদের প্রতি মাউশির কড়া বার্তা

আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩ , ০৮:০৮ পিএম


loading/img

জাতীয়করণের দাবিতে ৮ দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলন করছেন বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ অবস্থায় নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও শিখন ঘাটতি পূরণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের জরুরি নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেন।

যদিও চিঠিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ব্যাপারে স্পষ্ট করে নির্দেশনা দেওয়া না হলেও যারা ক্লাসরুমে অনুপস্থিত থাকছেন তাদের বিষয়ে তদারকি করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিত থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

আদেশে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন, কোভিড-১৯ এর ফলে সৃষ্ট শিখন ঘাটতি পূরণ ও শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আদেশে বলা হয়, ‘নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২’ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২৩ সাল থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন টিচিং-লার্নিং অ্যাপ্রোচে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন নির্ভর করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজন যেমন- প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবস্থাপনা কমিটি বা গভর্নিং বডি, শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সবার কার্যকর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন প্রতিষ্ঠান-প্রধান, শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটি বা গভর্নিং বডি।

দৈনন্দিন শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে শিক্ষকদের ও তা পর্যবেক্ষণে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিয়মিত উপস্থিতি অপরিহার্য। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে— কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও কোনো কোনো শিক্ষক নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্ত করছেন। পাশাপাশি এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডিরও কোনোরূপ নজরদারি না থাকায় নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এতে আরও বলা হয়, এ ছাড়া কোভিড-১৯ অভিমারির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়নি। ফলে এখন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্লাস নেওয়াসহ গভীর নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের অনিয়মিত উপস্থিতি- এ কার্যক্রমসহ শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ ক্ষুণ্ন করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ করা হলো।

বিজ্ঞাপন

নির্দেশনাগুলো—

১. প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি সক্রিয় তদারকি করবে।

২. শিক্ষকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান কার্যকর ভূমিকা নেবেন।

৩. কোভিড-১৯ অভিমারির কারণে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে গৃহীত বিশেষ ব্যবস্থা কার্যকর রাখা।

৪. সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে কোনোরূপ মিথ্যা ও উসকানিমূলক প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করা।

৫. শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরবছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।

এসব নির্দেশনা প্রতিপালনে কোনোরূপ ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |