সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতারা। বুধবার (২৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ শোক প্রকাশ করেন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।
যুক্ত বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতারা বলেন, মাদারীপুর-৩ আসন থেকে চার বার জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী (২০১১-১২), যোগাযোগমন্ত্রী (২০০৯-২০১১) এবং তার আগে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী (১৯৯৬-৯৭) সৈয়দ আবুল হোসেন তার অন্যান্য পরিচয়ের পাশাপাশি ছিলেন একজন উজ্জ্বল শিক্ষাব্রতী।
বিবৃতিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা-দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি নিজের অনগ্রসর জেলায় বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য গড়ে তুলেছেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি তার আনুগত্য, দেশের বঞ্চিত মানুষের প্রতি তার মমত্ববোধ এবং দানশীলতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বঙ্গবন্ধুকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার পর হত্যাকারীদের বিচার ও শাস্তির দাবিতে জনগণকে নিয়ে তিনি ছিলেন সর্বদা সোচ্চার। তাই ষড়যন্ত্রকারী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের চক্ষুশূল ছিলেন তিনি। তারা বিশ্ব ব্যাংককে দিয়ে তার নামে দুর্নীতির গুজব ছড়ায় এবং রাজনৈতিকভাবে তাকে হেনস্তা করে। পরবর্তীতে বিশ্বব্যাংক তাদের ভুল শুধরে নেয়।
সেই ভিত্তিহীন গুজব ও অন্যায় অপমানের জন্য এই মানুষটির কাছে তাদের দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল বলেও বিবৃতিতে বলা হয়। শেষে তার পরিবারবর্গের প্রতি সহানুভূতি ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।