ঢাকাশুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিদায়ী বছরের যত ভোগান্তি-দুর্ভোগ

শামীম আহসান

রোববার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ , ০১:১০ এএম


loading/img
ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের পাশাপাশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু নিয়ে খুবই আলোচিত ২০২৩ সাল। হাসপাতালে সিট না পেয়ে কি ভোগান্তিই না পোহাতে হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের। আর রাজধানীজুড়ে যানজট ছিল নগরবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে চলে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। কোথাও মেট্রোরেল, এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে, কোথাও বিদ্যুৎলাইন, কোথাও মাটির নিচে নেওয়া হচ্ছে তার, আবার কোথাও সুয়েজলাইন, কখনও ওয়াসার পানির লাইন সংস্কারে চলছে এই খোঁড়াখুঁড়ি। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সড়কে সমন্বয়হীন খোঁড়াখুঁড়ির ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। এ ছাড়া বছরজুড়ে ঢাকার ফুটপাত দখল করে ব্যবসার কারণে চলাচলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারেনি নগরবাসী। এসব দুর্ভোগের পাশাপাশি বছরজুড়ে নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামে দিশেহারা ছিল মানুষ। আর রাজনৈতিক দলগুলোর মিছিল, মিটিং, সমাবেশ ও বিক্ষোভে উত্তাল ছিল পুরো বছর। এসব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ছিল অবর্ণনীয়। সর্বশেষ হরতাল-অবরোধে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আতঙ্ক আর জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে। বিদায়ী বছরে জনদুর্ভোগের কিছু ঘটনা ফিরে দেখার চেষ্টা করেছে আরটিভি অনলাইন।

বিজ্ঞাপন

তেইশেও বিপর্যস্ত ডেঙ্গুতে

করোনাভাইরাসের পাশাপাশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু নিয়ে খুবই আলোচিত ছিল ২০২৩ সাল। দেশের ইতিহাসে রেকর্ড ডেঙ্গু সংক্রমণের বছরে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে রোগীদের। হাসপাতালগুলোতে নির্ধারিত শয্যা পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় ফ্লোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হয়েছে অনেক সংকটাপন্ন রোগীকে। এদিকে, রোগীর তুলনায় অবকাঠামো এবং জনবলের সীমাবদ্ধতা থাকায় চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খেতে হয়েছে চিকিৎসক-নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের। ফলে এবারও ডেঙ্গুতে বিপর্যস্ত হতে হয়েছে মানুষকে। ২০২৪ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন এখন পর্যন্ত (২৩ ডিসেম্বর) ৩ লাখ ২০ হাজার ১৫৮ জন রোগী। এরমধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৯ হাজার ৭৪৩ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ২ লাখ ১০ হাজার ৭১৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ১৭ হাজার ২৭৩ জন। ঢাকায় ১ লাখ ৮ হাজার ৪০১ এবং ঢাকার বাইরে ২ লাখ ৮ হাজার ৮৭২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৬৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ফুটপাত দখল : উপেক্ষিত আদালতের আদেশ

রাজধানীজুড়েই ফুটপাত ও সড়কে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করে যাচ্ছেন হকাররা। কোথাও কোথাও রাস্তার অর্ধেকই দখল করে নিয়েছেন তারা। হকাদের দখলের কারণে রাজধানীর ফুটপাত পথচারীদের জন্য হাঁটার জায়গা খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। পুলিশের সহায়তায় মাঝেমধ্যে উচ্ছেদ অভিযান চললেও অভিযান শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর তা আবার পুরোনো চেহারায় ফেরে। ২০১২ সালে হাইকোর্ট ফুটপাত হকারমুক্ত রাখতে আদেশ দিয়েছিল, পুলিশকে প্রতিমাসে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। ট্রাফিক পুলিশের পক্ষে এ প্রতিবেদন দেওয়া হয় দাবি করা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। গুলিস্তান ব্যস্ততম এলাকা হলেও চরম বিশৃঙ্খল একটি জায়গার নাম। যানবাহনের এলোমেলো চলা, আর ফুটপাতজুড়ে নানা পণ্যের পসরা- এই নিয়ে গুলিস্তান। জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে এক যুগ আগে হাইকোর্ট আদেশ দিলেও তা প্রতিপালনের কোনো নামগন্ধ নেই। যানজটের ভোগান্তি দূর করতে এর প্রতিকার চেয়ে ২০১২ সালে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী ‘সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’–এইচআরপিবি হাইকোর্টে একটি রিট করে। শুনানি শেষে আদালত জিরো পয়েন্ট থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ফুটপাত দখলমুক্ত করতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষকে। পাশাপাশি ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি পার্কিং বন্ধ, রাস্তার পাশের ফুটপাত বা রাস্তায় দোকানের পণ্য রাখা বন্ধ, রাস্তা-ফুটপাতে যেন ফেরিওয়ালা ও ফলের দোকান বসতে না পারে, সেজন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয় আদেশে। সেই আদেশের দশ বছরেও পরিবর্তন হয়নি ফুটপাতের চেহারা।

তীব্র যানজটে ভোগান্তি, দুর্ভোগ

বিজ্ঞাপন

বছরজুড়েই তীব্র যানজটে স্থবির ছিল ঢাকা। দিন যত যাচ্ছে যানজটের তীব্রতা তত বাড়ছে। সরকারের পক্ষ থেকে যানজট নিরসনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কমেনি যাটজট। তীব্র যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী দুঃসহ যন্ত্রণা যেন ভাগ্যের লিখন হিসেবেই মেনে নিয়েছেন। যানজটের কবলে পড়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। বছরজুড়েই ছিল যানজটেরে এই ভোগান্তি। তবে সর্বশেষ উত্তরা থেকে মতিঝিল মেট্রোরেল, একাধিক ফ্লাইওভার তৈরিতে কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার হয়েছে জনমনে।

বিজ্ঞাপন

উন্নয়নের খোঁড়াখুঁড়িতে জনদুর্ভোগ চরমে

রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে চলছে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। কোথাও মেট্রোরেল, এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে, কোথাও বিদ্যুৎলাইন, কোথাও মাটির নিচে নেওয়া হচ্ছে ঝুলন্ত তার, আবার কোথাও সুয়েজ লাইন, কোথাও ওয়াসার পানির লাইন সংস্কারে চলছে এই খোঁড়াখুঁড়ি। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সড়কে সমন্বয়হীন খোঁড়াখুঁড়ির ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। মূলসড়ক, অলিগলিসহ প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার সড়ক রয়েছে রাজধানীতে। এরমধ্যে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থাই খারাপ। বিভিন্ন সময় এসব সড়কে উন্নয়নের কাজ করছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া মেট্রোরেল, এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে, বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, ওয়াসার লাইন, ডিপিডিসি, বিটিআরসি, ডেসকো, তিতাসসহ সেবা সংস্থার কাজ বছরজুড়ে লেগেই আছে। সমন্বয়হীনতার অভাবে রাজধানীর একই সড়কে বারবার চলে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির জন্য দুই সিটি করপোরেশনের একটি নীতিমালা রয়েছে, যেটা অনুসরণ করে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির অনুমতি দেওয়ার কথা। অথচ এসব নীতিমালা অনুসরণ না করেই প্রধান সড়কসহ অলিগলিতে যত্রযত্র খোঁড়াখুঁড়ি করা হচ্ছে। এতে করে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে।

বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা

বৃষ্টি হলেই রাজধানীতেজলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলের অলিগলিতে হাঁটুপানি জমে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। বৃষ্টিতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, মালিবাগ, শান্তিনগর, নয়াপল্টন, রাজারবাগ, দক্ষিণখান, বংশাল, নাজিরাবাজার, মুকিমবাজার, গোপীবাগ, উত্তরা, রামপুরা, নাখালপাড়া, হাতিরঝিল, মধুবাগ, আদাবর, সাতরাস্তা, মগবাজার, মিরপুররোড, পান্থপথ, গ্রিনরোড, কমলাপুর, পুরান ঢাকার বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোড, ধানমন্ডি, মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে গত ৩ বছরে ১৩৬টি স্থানের জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করা হয়েছে। আরও অনেক নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু বছরের পর বছর নগরবাসীর ভোগান্তি আর কমে না।

বায়ু দূষণে ভুগছে সাধারণ মানুষ

ভৌগোলিক কারণে প্রতিবছর শীতের সময় ঢাকার বায়ুদূষণ বাড়ে। এবার দূষণের দিক থেকে প্রায়ই প্রথমদিকে থাকছে। বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের সূচকে গত দুই মাসে ঢাকা একাধিকবার ৩০০’র বেশি একিউআই স্কোর নিয়ে সর্বোচ্চ দূষিতের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। অথচ কোনো স্থানের একিউআই স্কোর যদি ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হওয়ার কথা। এমনকি এইএকিউআই স্কোর যদি পরপর তিন ঘণ্টা ৩০০’র বেশি থাকে, তবে সেখান স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করা যেতে পারে। এ বছরের নভেম্বর থেকে দেখা যাচ্ছে যে প্রতি তিন দিনের মাঝে যেকোনো একদিন দিনের কোনো না কোনো সময়ে ঢাকা পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত নগরীতে রূপান্তরিত হয়েছে। আর তার বায়ুর মান সূচক ৩৩০ এর ওপরে থাকছে। গত ৮ বছরের চেয়ে গড়ে এই বছরে ১০ ভাগের ও বেশি বায়ুদূষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে শ্বাসকষ্ট, হাপানিসহ নানা রোগে ভুগছে সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশে সাধারণত নভেম্বর থেকে মার্চের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বায়ুর মান এতটাই খারাপ থাকে যে, এই পাঁচমাসে সারা বছরের প্রায় ৬৫ শতাংশ বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। বায়ূ দূষণের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে, ইটভাটা ও শিল্পকার খানার দূষণ, যানবাহনের কালোধোঁয়া, বর্জ্য পোড়ানো, ময়লা আবর্জনা পোড়ানো আর নির্মাণকাজকে। এ বছর ডিসেম্বরে বেশি বায়ুদূষণ হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে অন্যান্য বছরের চেয়ে তুলনামূলক কম বৃষ্টিপাতকে। ভারত ও বাংলাদেশে যে বছর ভালো বৃষ্টি হয়, সে বছর বাতাস ভালো থাকে। তখন দিল্লি হয়ে যে বাতাস আমাদের দেশে আসে, সেই বাতাসে দূষিত কণা কম থাকে। জুলাই মাসে ভারত এবং বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা। কিন্তু ২০২৩ সালের জুন-জুলাইতে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে।

লাগামহীন দ্রব্যমূল্য, দিশেহারা মানুষ

নিত্যপণ্যের বাজার ক্রমশই লাগামহীন হয়ে পড়েছে। বছরজুড়ে দেশে দ্রব্যমূল্য বাড়ার এই অস্বাভাবিক অবস্থায় দিশাহারা মানুষ। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েই চলেছে। সবকিছুর দাম বাড়লেও বাড়ছে না কেবল মানুষের আয়। এ অবস্থায় জীবনে টিকে থাকা দায় হয়েছে। শুধু খাদ্যদ্রব্য নয়, জীবনযাপনে প্রয়োজনীয় সবকিছুর দামই হুহু করে বাড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সব জিনিসের দাম বেড়েছে, এমন ঘোষণায় দাম আরও বাড়ে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পায়, মানুষ আরও অসহায় হয়ে পড়ে। নিত্যপণের মধ্যে পেঁয়াজের লাগামহীন দাম মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি দুই দিনের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয় নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির।

হরতাল-অবরোধে, চরম ভোগান্তি

২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় দলটি। এরপর থেমে থেমে চলছে লাগাতার হরতাল অবরোধের কর্মসূচি। সর্বশেষ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় বিএনপি। ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে চলে নানা কর্মসূচি। টানা হরতাল-অবরোধ, অস্থিরতার কারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। গণপরিবহন কম থাকায় রাস্তায় তাদের চরম তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আবার নাশকতার ভয়ে থাকতে হচ্ছে। পরিবহনের চলাচল সীমিত হয়েছে। মালিকরা ভয়ে তটস্থ। কার গাড়ি কখন আগুনে পোড়ানো হয়, এই ভয়ে তারা গাড়ি রাস্তায় বের করছেন না। অবরোধের কারণে দূরপাল্লার বাস-ট্রাক পরিবহন ভীষণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। শুধু বাসেই নয়, এখন দুর্বৃত্তদের টার্গেট ট্রেন। ট্রেনে নাশকতা করছে তারা। তাই প্রতিদিন মানুষকে আতঙ্ক নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হচ্ছে। সর্বশেষ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ট্রেনের একটি বগি থেকে চারটি মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পুড়ে অঙ্গার হয়েছে নেত্রকোণার মা-ছেলে। সর্বশেষ শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীতে তিনিটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।এতে যাতে রাস্তায় গণপরিবহন কমে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ে ঘরমুখো মানুষ।   

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |