ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

বিয়ের উদ্দেশ্যে ‘প্রেম’, যা বলছে কোরআন-হাদিস

ধর্ম ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

সোমবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৪ , ০৪:৩০ পিএম


loading/img
প্রতীকী ছবি

পবিত্র কোরআনে নারী-পুরুষের বিয়েবহির্ভূত প্রেম-ভালোবাসা হারাম ঘোষণা করে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা জেনা তথা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ (সুরা বনি ইসরাঈল: ৩২)।

বিজ্ঞাপন

অনেকেরই প্রশ্ন, বিয়ের উদ্দেশ্যে প্রেম করা জায়েজ হবে কি? ইসলামী বিধান মোতাবেক সোজাসাপটা উত্তর— ‘না’। কোনোভাবেই এটি জায়েজ হবে না। বিয়ের মতো সৎ ইচ্ছা থাকলেও বেগানা-নারী পুরুষ সম্পর্কে জড়াতে পারে না। এটি ইসলামে কঠিনভাবে নিষিদ্ধ। নারী-পুরুষ যখন প্রেমে পড়ে, তখন একে অপরকে না দেখে থাকতে পারে না। দূরে থাকলেও ফোনে কথা বলে, ছবি বা ভিডিও দেখে অথবা সারাক্ষণ তাকে নিয়ে চিন্তা করে, স্বপ্নের বাসর সাজায়—যার প্রতিটি স্তরকেই হাদিসে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। 

হাদিসে বলা হয়েছে, দুই চোখের ব্যভিচার হলো বেগানা নারীর দিকে তাকানো, কানের ব্যভিচার যৌন উদ্দীপ্ত কথা শোনা, মুখের ব্যভিচার আবেগ উদ্দীপ্ত কথা বলা, হাতের ব্যভিচার বেগানা নারীকে খারাপ উদ্দেশ্যে স্পর্শ করা আর পায়ের জিনা ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হওয়া এবং মনের ব্যভিচার হলো চাওয়া ও প্রত্যাশা করা (মেশকাত: ৮৬)।

বিজ্ঞাপন

মহান আল্লাহ বলেন— ‘আর তোমরা তোমাদের উপর আল্লাহর সেই নেয়ামতের কথা স্মরণ করো, যখন তোমরা পরস্পরে শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের অন্তরসমূহে মহব্বত পয়দা করে দিলেন। অতঃপর তোমরা তার অনুগ্রহে পরস্পরে ভাই ভাই হয়ে গেলে (আলে ইমরান: ১০৩)।’

প্রেমের চিন্তা যাদের মাথায় আসে, তাদের উচিত বিয়ে করার চেষ্টা করা এবং দোয়া করা। কেননা ‘বিয়ে’ দীনের অর্ধেক। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যখন বান্দা বিয়ে করে, তখন সে তার দীনের অর্ধেক পূরণ করে। অতএব, বাকি অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’ (সহিহ আল-জামিউস সাগির ওয়া জিয়াদাতুহু: ৬১৪৮; তাবারানি: ৯৭২; মুসতাদরাক হাকিম: ২৭২৮)। আর স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা শুধুমাত্র বৈধ নয়, কাঙ্ক্ষিত এবং পবিত্রও। ইসলাম এই ভালোবাসার প্রতি খুবই গুরুত্ব দিয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) তার স্ত্রীদের ভালোবাসতেন। তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করতেন।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |