পৃথিবীর অন্যতম বায়ু ও শব্দদূষণের শহরের নাম ঢাকা। দৈনিক গড়ে ১৪ ঘণ্টা সময় ধরে অসহনীয় মাত্রায় শব্দদূষণ হয় ঢাকায়। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, বিয়ে-বিনোদন, মাহফিলে মাইকের শব্দ গণপরিবহন, প্রাইভেট কার, বাইক, রিক্সার অযাচিত হর্ন শব্দ দূষণের অন্যতম কারণ। আর এসব কারণে কষ্ট পোহাতে হয় শিশু, বৃদ্ধসহ সব ধরণের মানুষকে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শব্দদূষণের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।
পোস্টে তিনি বলেছেন, সম্মানিত ওয়াজ মাহফিলের আলোচক ও আয়োজকবৃন্দ, এসএসসি, দাখিল ও বেফাক পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রেখে মাহফিলের মাইক নিয়ন্ত্রণ করুন। সম্ভব হলে মাইক প্যান্ডেলের মধ্যে সীমিত রাখুন, অথবা বাহিরের মাইকের ভলিউম কমিয়ে রাখুন। কোন অবস্থাতেই দূর-দুরান্ত পর্যন্ত মাইক লাগিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত মাহফিল করবেন না।
তিনি বলেন, আমাদের অসচেতনতা যেন ইসলামের ব্যাপারে মানুষকে বীতশ্রদ্ধ করে না তোলে। মুসলিম জীবনে ওয়াজ ও নসীহার গুরুত্ব অপরিসীম। তবে সবকিছুই হওয়া উচিত ইসলামের নির্দেশনা মেনে। ওয়াজ-নসীহার মতো একটি ইবাদত যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়, এ বিষয়টি আমাদের গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত।
তিনি আরও বলেন, এর পাশাপাশি বিয়ে-বিনোদন, রাজনৈতিক প্রচারণা, গাড়ির অযাচিত হর্নসহ যে কোন শব্দদূষণ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটে, তা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত।
দেশের একজন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক ও সামাজিক সক্রিয় কর্মী শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।