মিশরে ফিলিস্তিনিদের ঘরে কোরবানির মাংস পৌঁছে দিল বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হুজাইফা
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মোট বাসিন্দা ২৩ লাখ। ইসরায়েলি আগ্রাসনে এর ১৭ লাখই এখন উদ্বাস্তু বা শরণার্থী। যাদের বেশিরভাগই গাজা উপত্যকার বিভিন্ন শরণার্থী শিবির এবং জাতিসংঘের আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। তার মধ্যে অন্তত ৫০ হাজারো ফিলিস্তিনি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন সীমান্তবর্তী দেশ মিশরে।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকার, সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা গাজায় নির্যাতিত অসহায় ফিলিস্তিনি ও মিশরে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন সহযোগিতা নিয়ে।
এবার কোরবানির ঈদে মিশরের বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হুজাইফা খান আজহারীর উদ্যোগে আমেরিকা ভিত্তিক প্রবাসী বাংলাদেশিদের দাতব্য সংস্থা ইলমান নাফিয়া চ্যারিটিজ হাউজের সার্বিক সহযোগিতায় মিশরের রাজধানী কায়রোতে আশ্রিত ফিলিস্তিনি শরণার্থী এবং ইসরায়েলিদের হামলায় আহত হয়ে কায়রো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসারত ফিলিস্তিনিদের মাঝে ঈদের কোরবানির গোশত বিতরণ করলো শিক্ষার্থীদের চ্যারাটি ফান্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশন।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুদানে তাদের জন্য একটি উট, একটি গরু, ৬টি দুম্বা ও ৪টি খাসি ও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অনুদানে হাফেজ্জি হুজুর সেবা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একটি গরু এবং বি.এম সাবাব ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একটি গরু কোরবানি করা হয়। এসকল কোরবানির গোশতের একটি অংশ ফ্রিজিং গাড়ির মাধ্যমে ঈদের তিন দিন যাবত সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে কায়রোর বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারগুলোর কাছে। অন্য একটি অংশ বিতরণ করা হয়েছে কায়রোর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের মাঝে।
এ ছাড়াও হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে আহত কায়রোর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসারত ফিলিস্তিনিদের মাঝে রান্না করা খাবারের প্যাকেজ বিতরণ করেছে সংগঠনটি।
ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হুজাইফা খান এই প্রতিনিধিকে বলেন, সমগ্ৰ মুসলিম উম্মাহর ন্যায় গাজায় এবং মিশরে ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা যেন সমানভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে সে-ই লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশন এবার কোরবানির এই উদ্যোগ গ্রহণ করে।
তিনি আরও বলেন, কয়েকটি মানবিক সংগঠনের মাধ্যমে প্রবাসী ও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অনুদানে পবিত্র ঈদুল আজহার তিন দিন উট, গরু, দুম্বা ও ছাগল কোরবানি করে এর গোশত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের মাঝে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বিতরণ করেছি। এছাড়া, ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশন আশা করে ইলমান নাফিয়া চ্যারিটিজ হাউজ আগামীতে ও তাদের নানামুখী এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
মন্তব্য করুন