ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন আরটিভির রুবেলসহ ২৫ সাংবাদিক
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন লেখক মাইদুর রহমান রুবেলসহ ২৫ সাংবাদিক।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মানবজমিন সম্পাদক মাহবুবা চৌধুরী। বিজয়ীদের নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদ এবং সম্মাননা প্রাপ্তদের ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, লেখক-সাহিত্যিক আমাদের সমাজের দর্পন। তারা তাদের লেখনীর মাধ্যমে সমাজের ভুলত্রুটি, ভালো-মন্দ, অসংঙ্গতি সবকিছু তুলে ধরতে পারে। নিরেট আনন্দ দিতে পারে। নিরানন্দ জীবনে একটা ভালো গল্প, একটা ভালো কবিতা ও প্রবন্ধ অনেক বেশি উপকারে আসতে পারে মানুষের জীবনে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো মানুষই তার কাজের স্বীকৃতি চান। তবে লেখক হোক, গায়ক হোক বা অভিনয় শিল্পী হোক তিনি কিন্তু পুরস্কারের আশায় কাজ শুরু করেন না। কাজ করতে করতে যখন পুরস্কার পান, কাজের স্বীকৃতি পান তখন তার কাজের স্পৃহা আরও বেড়ে যায়, দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। এ সময় তিনি লেখক-সাহিত্যিকদের পুরস্কৃত করার জন্য ডিআরইউকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বলেন, এ সাহিত্য পুরস্কার ডিআরইউ সদস্যদের মননশীলতা বিকাশে সহায়ক হবে এবং ডিআরইউতে সাহিত্য চর্চা আরও বেগবান করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউর সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান (মিজান রহমান), অর্থ সম্পাদক মো. জাকির হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী সম্পাদক মাহমুদা ডলি, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা) ক্রীড়া সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন, কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ শিপন, মুহিববুল্লাহ মুহিব, রফিক মৃধা, দেলোয়ার হোসেন মহিন ও শরিফুল ইসলাম।
এ বছর ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ৩ জন। কাব্যে (কবিতা/ছড়া) হাসান হাফিজ (কালের কণ্ঠ) মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা) ক্যাটাগরিতে জাকির হোসেন (কালবেলা) ও কথা সাহিত্যে (গল্প/উপন্যাস) আহমেদ আল আমীন (বাংলাদেশ প্রতিদিন)।
এ ছাড়াও লেখক সম্মাননা পেয়েছেন আরও ২২ সাংবাদিক।
কাব্য (কবিতা/ছড়া): শেখ এনামুল হক (চলো ফিরে যাই অরণ্যে), চপল, মাইদুর রহমান রুবেল (প্রেমের কবিতা সংকলন), বাশার (নির্বাচিত কবিতা), উমর ফারুক (দ্রোহের উপধারা)।
কথা সাহিত্যে (গল্প/উপন্যাস): এহসানুল হক জসীম (বরাক পারের বয়ান), জীবন ইসলাম (পূর্ণিমায় সেন্টমার্টিন), প্রণব মজুমদার (বিড়াল কাণ্ড), সিরাজুল ইসলাম কাদির (সবুজ ভালোবাসা), আবু আলী (প্যারিস থেকে হামবুর্গ), মুহম্মদ মোফাজ্জল (চাষাভুষার সন্তান) কাওসার রহমান (সিঁদুর) ও কানাই চক্রবর্ত্তী (ইতিহাসে নেই)।
মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা): আসিফ হাসান (হসপিস ও প্যালিয়েটিভ কেয়ার : পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ), সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা (রেখার মাঝে), মোহাম্মদ আব্দুর রহমান জাহাঙ্গীর (Dhaka : A City Plagued by problems), মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল (যাপিত জীবনের গল্প ), সিদ্দিকুর রহমান খান (কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা), আমিরুল মোমেনীন মানিক( নিষিদ্ধ গান বিশুদ্ধ বাদ্য), মিজান রহমান (বরিশালে ৭৩০ দিন) কুদরাত-ই-খোদা (সিভিল সার্ভিসের ভিতর বাহির), মোস্তফা কামাল মজুমদার (Thorny Path of Jounalism) ও শাহেদ মতিউর রহমান ( আওয়ামী লীগের বিতর্কিত কারিকুলাম)।
মন্তব্য করুন