রজব মাসের ফজিলত ও দোয়া
আরবি মাসগুলোর মধ্যে একটি বিশেষ ও মহিমান্বিত মাসের নাম হলো রজব। রজব আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো সম্মানিত। কেননা ইসলাম ৪টি মাসকে ‘আশহুরে হুরুম’ বা সম্মানিত মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রজব একটি। এ ছাড়া মাসটি রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর কাছে গণনায় মাস ১২টি, তার মধ্যে ৪টি (সম্মানিত হওয়ার কারণে) নিষিদ্ধ মাস, এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। (সূরা তওবা : আয়াত ৩৬)।
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টির দিন থেকে আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস নিশ্চয়ই বারোটি। সুতরাং তোমরা এই মাসগুলোতে নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না।’ (সুরা তাওবা : আয়াত ৩৪)।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘পাঁচটি রাত এমন আছে, যেগুলোতে বান্দার দোয়া আল্লাহ তাআলা ফিরিয়ে দেন না, অর্থাৎ অবশ্যই কবুল করেন। রাতগুলো হলো—জুমার রাত, রজবের প্রথম রাত, শাবানের ১৫ তারিখের রাত, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার রাত।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ৭৯২৭)।
রসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি রজব মাসে (ইবাদত দ্বারা) জমি চাষাবাদ করল না আর শাবান মাসে (ইবাদতের মাধ্যমে) জমি আগাছামুক্ত করল না; সে রমজান মাসে (ইবাদতের) ফসল তুলতে পারবে না। (বায়হাকি)
হজরত আয়েশা রা. বলেন, যখন রজব মাস আসত, রসুলুল্লাহর (সা.) আমলের আধিক্য দেখেই আমরা তা বুঝতে পারতাম। কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রজব মাসে ১০টি রোজা রাখতেন, শাবান মাসে ২০টি রোজা রাখতেন, রমজান মাসে ৩০টি রোজা রাখতেন। (দারিমি)
হজরত আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, যখন রজব মাস শুরু হতো, নবী করিম (সা.) তখন এ দোয়াটি পড়তেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শাবান, ওয়াবাল্লিগনা রমাদান।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত হায়াত বৃদ্ধি করে দিন।’ (আলমুজামুল আওসাত, হাদিস : ৩৯৩৯)।
আরটিভি/এফএ
মন্তব্য করুন