• ঢাকা সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১
logo

ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করলে কবুল হয়

ধর্ম ডেস্ক

  ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:১৬
ইসমে আজম
ছবি: সংগৃহীত

বান্দা যখন বিপদ-আপদে পড়েন বা কোনোকিছুর দরকার হয় তখন তিনি আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলেন। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রার্থনা করে থাকেন। কেননা, মহান আল্লাহ কোরআনে বলেন, তিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু। যখন কোনো বান্দা তার নিকট দুই হাত তুলে প্রার্থনা করে, তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাকে শূন্যহাতে ফিরিয়ে দেন না।

কোরআনে বলা হয়েছে ‘প্রার্থনাকারী যখন আমাকে ডাকে, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিই। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় ও ঈমান আনয়ন করে। আশা করা যায়, তারা সফলকাম হবে।’ (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৬)

অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর যারা আমার পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায় তাদের আমি অবশ্যই অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। অবশ্যই আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গে আছেন।’ ( সূরা আনকাবুত (২৯), আয়াত: ৬৩)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মহামহিম আল্লাহ তায়ালা প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে নিকটবর্তী আসমানে (প্রথম আসমান) অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেন- কে আছে এমন যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কে আছ এমন যে আমার কাছে চাইবে? আমি তাকে তা দেব। কে আছ এমন আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১০৭৯)

ইসমে আজম বা আল্লাহর গুণবাচক নাম ব্যবহার করে দোয়া করলেও মহান রব তা কবুল করে থাকেন। বুরায়দা আসলামী (রা.) তার বাবার সূত্রে বর্ণনা করেন, একবার রাসুল (সা.) এক ব্যক্তিকে দোয়া করতে শুনলেন। ওই ব্যক্তি বলছিল-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্নি আসহাদুআন্নাকা আংতাল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লা অংতাল আহাদুস-সামাদ, আল্লাযি-লাম ইয়ালিদ, ওয়ালাম ইউলাদ, ওয়ালাম-ইয়াকুন লাহু কুফুওয়ান আহাদ।

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি এবং জানি যে, তুমিই আল্লাহ। তুমি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে আর কোনো মাবুদ নেই। তুমি এক ও অনন্য। তুমি অমুখাপেক্ষী ও স্বনির্ভর। যিনি কাউকে জন্মও দেননি। কারও থেকে জন্মও নেননি। যার কোনো সমকক্ষ নেই।’

লোকটিকে এমন দোয়া করতে শুনে রাসুল (সা.) তখন বললেন, যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ, সেই সত্তার কসম! এই ব্যক্তি আল্লাহর কাছে এমন ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করছে, যার উসিলায় দোয়া করা হলে আল্লাহ তা’য়ালা কবুল করেন এবং যার উসিলায় যাঞ্চা (প্রার্থনা) করা হলে তিনি তা দান করেন। (তিরমিজী, হাদিস: ৩৪৭৫)

এ ছাড়া এটাও পড়া যেতে পারে— اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ، لَا إِلهَ إِلَّا أَنْتَ، وَحْدَكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ، الْمَنَّانُ، بَدِيْعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ، ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদা, লা ইলাহা ইল্লা আনতা, ওয়াহদাকা লা শারীকা লাকাল মান্নানু বাদীআস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি জুল জালালি ওয়াল ইকরাম।’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে (আমার কাঙ্ক্ষিত বিষয়) কামনা করছি। যেহেতু সকল প্রশংসা আপনার। আপনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আপনি এক। আপনার কোনো শরিক নেই। আপনি মহা অনুগ্রহশীল। জমিন ও আসমানসমূহের অতুলনীয় স্রষ্টা। আপনি মহিমময়, মহানুভব।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩৮৫৮)

আরও পড়া যেতে পারে— اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، الْمَنَّانُ، يَا بَدِيعَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ، يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ، إِنِّيْ أَسْأَلُكَ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদা, লা ইলাহা ইল্লা আনতা, আল মান্নানু, ইয়া বাদীয়াস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি, ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হায়্যু ইয়া কাইয়্যুম, ইন্নি আসআলুকা।

উচ্চারণ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে (আমার কাঙ্ক্ষিত বিষয়) কামনা করছি। যেহেতু সকল প্রশংসা আপনার জন্য। আপনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আপনি মহা অনুগ্রহশীল। হে জমিন ও আসমানসমূহের অতুলনীয় স্রষ্টা! হে মহিমময়, মহানুভব! হে চিরঞ্জীব হে মহানিয়ন্ত্রক! আমি আপনার কাছে (আমার কাঙ্ক্ষিত বিষয়) প্রার্থনা করছি।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৩৫৭০)

আরটিভি/এফএ

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়