শবেমেরাজের তাৎপর্য ও আমল
আজ পবিত্র শবেমেরাজ। শব শব্দটি ফারসি। এর অর্থ রাত। আর মেরাজ আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো ঊর্ধ্বারোহণ বা ঊর্ধ্বগমন। এই রাতে মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেন ও মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাই ইসলামে মেরাজের রাত বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, তিনি পবিত্র (আল্লাহ) যিনি তার বান্দাকে রাত্রিভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত। যার আশপাশ আমি বরকতময় করেছি। যাতে আমি তাকে আমার নিদর্শনসমূহ দেখাতে পারি। নিশ্চয় তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। (সুরা- বনি ইসরাইল)
মূলত শাবান মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতই হলো শবেমেরাজ। এই রাতেই মুসলমানদের জন্য সালাত বা নামাজ ফরজ করা হয় ও প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ আদায়ের বিধান আসে।
রাতটি উপলক্ষে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত কামনা করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদে-মসজিদে, নিজগৃহে বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার ও ইবাদত-বন্দেগির করে থাকেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রজব হলো আল্লাহর মাস, শাবান হলো আমার মাস; রমজান হলো আমার উম্মতের মাস। (তিরমিজি)
শবেমেরাজের রাতে নির্দিষ্ট কোনো আমল নেই। তবে এই রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে সময় কাটান ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। বিশেষ করে বিভিন্ন মসজিদে ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল আয়োজন করা হয়। কেউ কেউ নফল রোজা পালন করেন ও তাসবিহ-তাহলীল পাঠ করেন।
রজব মাস থেকেই মহানবি (সা.) রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতেন। উম্মে সালমা (রা.) বলেন, নবিজি রমজান ছাড়া সবচেয়ে বেশি রোজা রাখতেন শাবান মাসে। আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, রজব মাস এলে আমরা নবীজির আমল অধিক হারে হতে দেখতাম।
রাতটিতে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা যেতে পারে। এ ছাড়াও আল্লাহর রাস্তায় দান করা যেতে। পাশাপাশি রাতে সেহরি করে রোজা রাখাও হবে অনেক সওয়াবের কাজ।
আরটিভি/এফএ
মন্তব্য করুন