মঙ্গলের মাটিতে বরফ হয়ে থাকা পানির সন্ধান পাওয়ার দাবি করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার একদল বিজ্ঞানী। যে পরিমাণ পানি পাওয়া গেছে তা খুব কম নয় বলেও জানা গেছে। খবর উইয়ার্ড নিউজের।
নাসার মারস রিকনেসন্স অরবিটারে থাকা ৪০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে বানানো ৬৫ কেজি ওজনের হাইরাইজ (HiRISE ) নামক বিশেষ ক্যামেরায় তোলা একটি ছবি বিশ্লেষণ করে ঘটনাটি জানা গেছে।
ছবি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বিশাল আয়তনের একটি নদী জমাট অবস্থায় মঙ্গলের মাটিতে রয়েছে। বরফের রং এবং আলোর বিচ্ছুরণ দেখে তাদের দাবি নদীটির পানি পানযোগ্য। অবশ্য এই দাবি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরো পরীক্ষা চালানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার বিজ্ঞানীরা।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ মার্চে
--------------------------------------------------------
মার্কিন বিজ্ঞান সাময়িকী ‘সায়েন্স’ এর বরাত দিয়ে উইয়ার্ড নিউজ জানায়, গবেষক দলের প্রধান ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার বিজ্ঞানী কলিন ডানডাস বলেছেন, মঙ্গলের মাটি যতটা রুক্ষ বলে মনে করা হচ্ছিল সম্ভবত তা নয়। গ্রহটিতে অন্তত ৮টি স্থানে বরফ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জমাট হয়ে থাকা বরফ যদি মাটির উপরেই থেকে থাকে তবে তা উর্বরাশক্তিকে কিছুটা হলেও প্রভাবিত করার কথা।
যদিও নাসা’র বিজ্ঞানীরা এতদিন বলে আসছিলেন, মঙ্গলে যে পানি রয়েছে তা মাটির তলে রয়েছে। এবং তা খননের মাধ্যমেই বের করা সম্ভব। তবে সাম্প্রতিক ছবি বলছে ভিন্ন কথা। মঙ্গলে পানি রয়েছে এবং তা মাটির উপরেই।
গবেষণা দলটির প্রধান আরো জানান, গ্রহটির বর্তমান চেহারা দেখে মনে হচ্ছে সেখানে এককালে প্রাণের অস্তিত্ব থাকলেও থাকতে পারে। যেহেতু মঙ্গলের মাটি থেকে পানির অস্তিত্ব এখনও মিলিয়ে যায়নি, ফলে বহুকাল আগে গ্রহটির পরিবেশ ভালো ছিল বলে দাবি করাই যেতে পারে।
অবশ্য কলিনের সহকর্মীরা তার সঙ্গে একমত নন। মঙ্গলে যে তুষার ঝড় হয়েছিল এমন প্রমাণ এরই মধ্যে পাওয়া গেছে। ফলে মঙ্গলের মাটিতে যদি বরফের অস্তিত্ব থাকে তবে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাই বলে এটা বলা মুশকিল যে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব কোনো সময় ছিল কিংবা এখনও আছে।
নাসা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি। তবে গ্রহটিতে যে পানি রয়েছে তা আগেই স্বীকার করে নিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। তবে তা পানযোগ্য কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর তারা এখনো দিতে পারেনি।
আরও পড়ুন
কেএইচ/এসএস