বিশ্বের অনেক দেশেই ঠিকমতো ফোর জি সেবা চালুই হয়নি এখনো, কিন্তু এরইমধ্যে ফাইভ জি মোবাইল সেট বানানোর উপযোগী নেটওয়ার্ক মডেম বানানোর পরিকল্পনা করছে কোয়ালকম। ডিজিটাল তারহীন টেলিকমিউনিকেশন পণ্য ও সেবার নকশা, নির্মাণ ও বিপণন করে থাকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিটি। খবর দ্যা ভার্জের।
গত সপ্তাহে কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে জানায়, বিশ্বের শীর্ষ হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জোট বেঁধে ফাইভ জি প্রযুক্তি নিয়ে আসবে। এজন্য কোয়ালকম ফাইভ জি চিপসেট বানাবে। এ উদ্দেশে এইচএমডি গ্লোবাল (নকিয়া), এলজি, সনি, শার্প, শাওমি, ভিভো, জেডটিই, এইচটিসি, আসুস, ফুজিৎসু সঙ্গে কোয়ালকমের প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ফোনে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন এক্স ৫০ ফাইভ জি এনআর মডেম ব্যবহৃত হবে। তারা ছাড়াও এটিএন্ডটি, ব্রিটিশ টেলিকম, চাইনা মোবাইল, ডাচ টেলিকম, অরেঞ্জ, এসকে টেলিকম, স্প্রিন্ট, টেলস্ট্রা, ভেরাইজন এবং ভোডাফোনের সাথেও কোয়ালকমের অংশীদারীত্ব হতে পারে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: জানেন কী স্মার্টফোন কেন গরম হয়?
--------------------------------------------------------
যদিও এই তালিকায় বিস্ময়করভাবে অ্যাপল, স্যামসাং ও হুয়াওয়ে এই তিনটি মোবাইল নির্মাতার নাম নেই। হুয়াওয়ের কোয়ালকমের চিপসেট ব্যবহার না করলেও অ্যাপল ও স্যামসাং তাদের কিছু ডিভাইসে কোয়ালকমের মডেম ব্যবহার করে থাকে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, যেহেতু অ্যাপলের সাথে কোয়ালকমের আইনি লড়াই চলছে তাই কোম্পানিটি পুরোপুরি কোয়ালকম মডেম ব্যবহার করা বন্ধ করে দিতে পারে। স্যামসাং সম্ভবত তার নিজস্ব ‘এক্সিনোস’ চিপসেটই ব্যবহার করবে।
ধারণা করা হচ্ছে ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বের কয়েকটি দেশে ফাইভ জি মোবাইল নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হবে। যদিও পুরো পরিকল্পনাটিই আছে প্রাথমিক স্তরে।
উল্লেখ্য, ফাইভ জি’তে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাল্টি-গিগাবাইট পার সেকেন্ড ডাটা ট্রান্সফার করা সম্ভব হবে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল ফোন ছাড়াও অগমেন্টেড রিয়েলিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির জগতে বিপ্লব ঘটাবে।
কেএইচ/এসএইচ