ঢাকাশনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

কুরবানির তাৎপর্য ও ফজিলত

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ০২ আগস্ট ২০১৯ , ১২:২৬ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি

কুরবানির ফজিলতের বিষয়ে একবার সাহাবায়ে কেরাম নবী করিম (সা.) কে  জিজ্ঞাস করেন- কোরবানি কী? নবী করিম (সা.) বলেন, কোরবানি হলো তোমাদের পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.) এর সুন্নত।

বিজ্ঞাপন

এতে আমাদের সওয়াব কী? নবী করিম (সা.) বলেন, কুরবানির পশুর প্রত্যেকটি পশমের বদলায় একটি করে সওয়াব রয়েছে।(মুসনাদে আহমাদ)।

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেছেন, কুরবানির দিন কুরবানির চেয়ে উত্তম আমল নেই। কিয়ামের দিন কুরবানির পশুকে শিং, পশম ও খুরসহ পেশ করা হবে এবং কুরবানির জন্তুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহ তায়ালার কাছে তা কবুল হয়ে যায়। তাই তোমরা খুব আনন্দ চিত্তে কুরবানি কর।

বিজ্ঞাপন

১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্ক, মুকিম ব্যক্তির কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে অর্থাৎ স্বীয় হাজাতে আসলিয়্যাহ বা মৌলিক প্রয়োজন (পানাহার, বাসস্থান, উপার্জনের উপকরণ ইত্যাদি) ছাড়া অতিরিক্ত এ পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, যা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্যের মূল্যের সমপরিমাণ (টাকার অঙ্কে আনুমানিক ৫৫ হাজার টাকা) হয়, সে ব্যক্তির ওপর কুরবানি ওয়াজিব।

তবে  পাগল ব্যক্তির কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলেও তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে না। এছাড়া মুসাফিরের ওপর কুরবানি ওয়াজিব নয়। মুসাফির ব্যক্তি কুরবানির দিনগুলো অতিবাহিত হওয়ার পর যদি বাড়ি ফিরে আসে, তাহলেও তার ওপর কোরবানির কাজা করা লাগবে না। প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য নিজের পক্ষ থেকে কুরবানি করা ওয়াজিব। তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও বাবা-মায়ের পক্ষ থেকে কুরবানি করা ওয়াজিব নয়।

এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |