রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু মঙ্গলবার
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম সিন্ডিকেট (বিশেষ) সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টায় খুলে দেওয়া হয়েছে ছাত্রী হল।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ, ট্রেজারার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়; মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর, যুগ্মসচিব (ড্রাফটিং) (চলতি দায়িত্ব) লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ। মুহাম্মদ জহুরুল ইসলাম, যুগ্মসচিব (পরিকল্পনা অধিশাখা), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং রিফাত-উর-রহমান, চেয়ারম্যান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।
মন্তব্য করুন
বঙ্গভবনে যাওয়ার দাওয়াত পেয়েও প্রত্যাখ্যান করল রাবির সমন্বয়ক
রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনের আমন্ত্রণ পেয়ে প্রত্যাখ্যান করলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেন, ‘খুনি চুপ্পুর দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করছি। যদিও দাওয়াতটা খুবই দরকার ছিল। কারণ ৬ হাজার ১৪৩ জন শিক্ষার্থীর পোষ্য কোটা বাতিলের পক্ষে স্বাক্ষর করা স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছানোর সুযোগ দরকার ছিল। কিন্তু এই আমন্ত্রণে যাওয়া মানে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি ঠেকাতে আরেকটা বেইমানের সহযোগিতা নেওয়ার মতো ব্যাপার হবে। তাই যাচ্ছি না। তবে রাবির শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আমি মন্ত্রণালয়ে উঠিয়ে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’
কীসের জন্য ইনভাইটেশন তা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘এটা একটি রাষ্ট্রীয় দাওয়াত ছিল। যেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪০ জনকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। রাজশাহী থেকে শুধু আমাকেই দাওয়াত দেন। আমরা সারা বাংলাদেশের ৪০ জন সমন্বয়কই তা প্রত্যাখ্যান করলাম। প্রধান উপদেষ্টা দাওয়াতে আমরা যাব। কিন্তু খুনি চুপ্পুর দাওয়াতে আমরা যাব না।’
আরটিভি/এমকে/এআর
স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারি মঙ্গলবার, ফল জানা যাবে যেভাবে
সারাদেশের মহানগর, জেলা সদর ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ভর্তির ডিজিটাল লটারি শুরু হচ্ছে।
রাজধানীর সেগুন বাগিচাস্থ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তির এই ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আনুষ্ঠানিকতার পর ঘরে বসেই ফলাফল জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানপ্রধান, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা লিংকে (https://gsa.teletalk.com.bd) প্রবেশ করে তাদের নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবে।
ডাউনলোড করা ফলাফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতি বরাবর ই-মেইলে পাঠিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে জানাতে পারবেন।
আরটিভি/এএ/এআর
মাহিনের আইন মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা, সারজিস-হাসনাতের একাত্মতা
বিডিআর হত্যার বিচার দাবিতে অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকারের আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে গঠিত কমিশন বাতিল করায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. মাহিন সরকার কমিশন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ঘেরাও করার যে ঘোষণা দিয়েছে, তার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি। আগামীকাল সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ।
এর আগে মাহিন সরকারের পোস্ট শেয়ার ও একাত্মতা প্রকাশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি আমার ভাই মাহিনের পক্ষে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার হতেই হবে। (হ্যাশট্যাগ) আইএমউইথমাহিন।’
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে বিডিআর হত্যার বিচার দাবিতে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে বলেও তিনি জানান।
ফেসবুক পোস্টে মাহিন সরকার বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে না পারা অন্তর্বর্তী সরকারের চরম ব্যর্থতা। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে কমিশন গঠনে গড়িমসি করে এই সরকার দেশের তামাম জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যা স্পষ্টতই প্রহসনের শামিল।
তিনি বলেন, একাত্তরে বাংলাদেশের আপামর মুক্তিকামী জনতার অর্জিত বিজয়কে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত তাদের নিজেদের জয় বলে আখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে অবহেলা করা এবং ভারতের এমন ইতিহাস বিকৃতির স্পষ্ট প্রতিবাদ না জানানো স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। এরই প্রতিবাদে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একজন নগণ্য অংশীদার হিসেবে আমি মাহিন সরকার বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ভিকটিম পরিবারগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আগামীকাল (১৭ ডিসেম্বর) আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করবো। আমার সঙ্গে যদি কেউ না-ও যায়, এমনকি পুরো বাংলাদেশের একজনও যদি আমার পক্ষে না থাকে তবু আমি আমার এই দৃঢ় অবস্থান থেকে বিন্দুমাত্র পিছু হটবো না।
তিনি আরও বলেন, কোনও ভিনদেশি পরাশক্তি কিংবা হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতায় আসীন হওয়া এই অন্তর্বর্তী সরকারও যদি আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তবু আমি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে আমৃত্যু লড়ে যাবো। এই বিচার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত সংস্কার কার্যক্রম কিংবা কমিশন গঠনের নামে দীর্ঘসূত্রতার কোনও পদক্ষেপকে আমি গ্রাহ্য করবো না।
আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করতে ছাত্র-জনতাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসার আহবান জানিয়ে মাহিন আরও বলেন, আগামীকাল সকাল ১১টায় সচেতন ছাত্র-নাগরিকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
আরটিভি/কেএইচ
স্কুলে ভর্তির লটারি আজ, ফল দেখবেন যেভাবে
সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়) প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির লটারি মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে এ-সংক্রান্ত লটারি। লটারি-পরবর্তী ফল দেখার প্রক্রিয়া জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি)।
মাউশির এক চিঠিতে বলেছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তিপ্রক্রিয়া ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির অন্তর্ভুক্ত) ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠান মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর প্রতিষ্ঠান প্রধান অথবা অভিভাবক অথবা শিক্ষার্থী লিংক থেকে তাদের নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোড করা ফলাফল প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠান প্রধান সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতি বরাবর ইমেইলে প্রেরণ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করবেন।
মাউশির দেওয়া এই লিংকে (https://gsa.teletalk.com.bd/) প্রবেশ করে নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে।
জানা যায়, ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি থাকবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম।
গত ১২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে স্কুলে ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। ১৮ দিনে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করে।
আরটিভি/এমএ
স্কুলে ভর্তিতে লটারির ফল প্রকাশ, দেখবেন যেভাবে
সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়) প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির লটারির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়।
ডিজিটাল লটারির ভর্তির ফলাফল https://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট এবং টেলিটক মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।
এসএমএস পদ্ধতি : GSAResultUser ID লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নম্বরে।
লটারিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারি নিয়মে ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা, অক্ষম, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিবন্ধী কোটাসহ নিয়মানুযায়ী সব কোটা বিবেচনা করা হয়েছে।
শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে এবং প্রার্থীর স্ব-স্ব ক্ষেত্রে ক্লাস, শিফট ও পছন্দের ক্রমানুযায়ী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিজিটাল অনলাইন লটারি কার্যক্রমে সফটওয়্যারের মাধ্যমে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচন করা হয়। মাউশি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এই ডিজিটাল অনলাইন লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী নির্বাচন কার্যক্রমে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাউশির মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মোজাক্কার হোসেন চৌধুরী।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাউশির আওতাধীন ৬৮০টি সরকারি ও ৩ হাজার ১৯৮টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত ১২ থেকে শুরু করে ৩১ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে ভর্তি আবেদন গ্রহণ চলে। এই প্রক্রিয়ায় দেশব্যাপী ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য ৬৮০টি সরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি শূন্য আসনের বিপরীতে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২টি আবেদন জমা পড়ে।
আর ৩ হাজার ১৯৮টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি শূন্য আসনের বিপরীতে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭টি আবেদন গৃহীত হয়। এই আবেদনগুলো থেকে ভর্তির লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
আরটিভি/এমএ
অবসরে পাঠানো ২০ শিক্ষক-কর্মকর্তার পরিচয় প্রকাশ
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তার নাম-পরিচয় জানা গেছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্পষ্ট করেছে।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে ২০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের নাম-পরিচয় এড়িয়ে যায়। একইসঙ্গে তাদের অবসরে পাঠানোর সঠিক কারণ না জানালেও ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে’ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো ২০ জনের মধ্যে একজন শিক্ষক ও ১৯ জন কর্মকর্তা। এরমধ্যে একমাত্র শিক্ষক হলেন ড. মো. নাসির উদ্দিন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক।
এ ছাড়া কর্মকর্তারা হলেন পরিবহন দপ্তর (রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের (সিলেট আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক মো. সাজেদুল হক, আইনবিষয়ক দপ্তরের (চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক মো. সিদ্দিকুর রহমান, আঞ্চলিক কেন্দ্র সমন্বয় দপ্তরের (খুলনা আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক হোসনেয়ারা বেগম।
প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড স্টোর দপ্তর (সিলেট আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) মো. আবু হানিফ, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা দপ্তরের (সিলেট আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান, প্রকাশনা ও বিপণন দপ্তরের (খুলনা আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) আব্দুল মালেক সরকার, জনসংযোগ দপ্তরের (বরিশাল আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক মো. আতাউর রহমান।
কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন দপ্তরের (কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক এ এস এম রফিকুল আকবর, শিক্ষক প্রশিক্ষণ দপ্তরের (সিলেট আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক মো. হাছানুর রহমান, শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের (কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক এইচ এম তায়েহীদ জামাল, এস্টেট দপ্তরের (রংপুর আঞ্চলিক কেন্দ্রে সংযুক্ত) পরিচালক হাসান আমীর আহমেদ।
অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা দপ্তরের (রেজিস্ট্রার দপ্তরে সংযুক্ত) মো. শফিক উল্লাহ, খুলনা আঞ্চলিক কেন্দ্রের পরিচালক আ স ম আবদুল হক, বরিশাল আঞ্চলিক কেন্দ্রের উপ-রেজিস্ট্রার কাজী নাসির উদ্দিন, গ্রন্থাগার দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার মন্নুজান বেগম, প্রকাশনা ও বিপণন দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার ফাহিমা সুলতানা, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্রের উপ-রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ হোসেন, মেডিকেল সার্ভিসেস দপ্তরের উপ-রেজিস্ট্রার মো. আবদুস ছাত্তার।
আরটিভি/আরএ
বাতিল হচ্ছে আওয়ামী লীগ আমলের শিক্ষানীতি
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১০ সালের শিক্ষানীতি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই শিক্ষানীতিকে ‘অনুপযোগী ও অবাস্তবায়নযোগ্য’ বলছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়নে শিগগিরই আরেকটি শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, স্বাধীনতার পর থেকে দেশে প্রণয়ন করা ছয়টি শিক্ষানীতি সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে বাতিল হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা বর্তমান শিক্ষানীতি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিগগিরই একটি নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য একটি নতুন শিক্ষা কমিশন ঘোষণা করা হবে। আমরা নিশ্চিত যে এই কমিশন একটি চমৎকার কাজ করবে।
শিগগিরই শিক্ষা কমিশনের সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে যেন কোনো বিতর্ক তৈরি না হয় কমিশন সেটা নিশ্চিত করবে।
২০১০ সালের শিক্ষানীতি বাতিলের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক আমিনুল বলেন, এটা সম্পূর্ণ অনুপযোগী এবং এতে কোনো লাভ হবে না। বর্তমান শিক্ষানীতির অনেক বড় একটা অংশ বাস্তবায়িত হয়নি, যা প্রমাণ করে যে এটি 'অবাস্তবায়নযোগ্য'।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক আমিনুল বলেন, নতুন কমিশনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের খ্যাতিমান, মেধাবী এবং দক্ষ ব্যক্তিরা থাকবেন। বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং অন্যান্য সহায়তার মাধ্যমে আমূল পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, পুরোনো শিক্ষানীতি বাতিল করে নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দুই-তিন কার্যদিবসের মধ্যে নতুন শিক্ষা কমিশনের সদস্যদের নাম প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠাতে পারে মন্ত্রণালয়।
আরটিভি/এএ/এআর