ঢাকারোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঘুমানোর আগে সুরা কাফিরুন পড়ুন

আরটিভি নিউজ

শনিবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ১০:১২ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এক সাহাবি আরজ করলেন, আমাকে ঘুমের আগে পড়ার জন্য কোনও দোয়া বলে দিন। তখন তিনি ‘সুরা কাফিরুন’ পড়তে আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

হজরত ফারওয়াহ ইবনু নাওফাল রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তার বাবার সূত্রে বর্ণনা করেছেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাওফালকে বললেন- তুমি ‘কুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরুন’ সুরাটি পড়ে ঘুমাবে। কারণ এ সুরাটি হচ্ছে শিরক থেকে মুক্তির ঘোষণা।’ (আবু দাউদ, (তাবারানি))

সুরা কাফিরুন

বিজ্ঞাপন

আরবি

قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ 

لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ

বিজ্ঞাপন

وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ

وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ

وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ

لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ

বাংলা উচ্চারণ

কুল ইয়াআইয়ুহাল কা-ফিরূন।
লাআ‘বুদুমা-তা‘বুদূন।
ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ।
ওয়ালাআনা ‘আ-বিদুম মা-‘আবাত্তুম,
ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ।
লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।

অর্থ 
বলুন, হে কাফেরকূল, আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর। এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর। তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি। তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।

এছাড়াও নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশিভাগ সময় কাবা শরিফ তাওয়াফের পর দুই রাকাত নামাজ, মাগরিব ও ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত নামাজে সুরা কাফিরুন ও সুরা ইখলাস পড়তেন।

সুরাটির নাজিল প্রসঙ্গে

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাওহিদের বাণী প্রচার করতেন। তাওহিদের বাণী প্রচারে বাধা দেওয়ার জন্য মক্কার কুরাইশরা এমর্মে এক অভিনব কিন্তু (তাবারানি) প্রস্তাব দেন যে-

‘এক বছর তারা এবং সবাই তাদের মূর্তি পূজা করবে এবং আর এক বছর তারা এবং সবাই আল্লাহর ইবাদত করবে। (নাউজুবিল্লাহ)

তাদের এই অনৈতিক ও হাস্যকর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মহান আল্লাহ তাআলা নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে শিরকমুক্ত ঈমানের জন্য এই সুরাটি নাজিল করেন। এ সুরাটি নাজিলের পর মক্কার অনেক মুশরিক ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন এবং তারা আল্লাহর একত্ববাদকে সাদরে গ্রহণ করেছিলেন।

শিরক মুক্ত ঈমান নিয়ে বেঁচে থাকা এবং মৃত্যুবরণ করার জন্য সুরাটির আমল, বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতে ঘুমানোর আগে শিরকমুক্ত বিশ্বাস নিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার জন্যই সুরা কাফিরুন পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এসএস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |