বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ছিল বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রকে হত্যা ষড়যন্ত্রের অংশ: তথ্যমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অংশ। বললেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস, বাংলাদেশ (আইডিইবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশি-বিদেশি চক্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা ভেবেছিল বাংলাদেশ কখনো স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ তিন কোটি গৃহহারা মানুষকে পুনর্বাসন করে পোড়ামাটির ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ৭.৪ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে সমৃদ্ধির পথে এগুতে শুরু করলো, তখন সেই সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়।
মন্ত্রী এ সময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে শহীদ বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল সদস্য, শহীদ জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাদের আত্মার শান্তিকামনা করেন। এ দিন জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মের সবাইকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু আইন করে আমাদের তেল ও গ্যাসক্ষেত্রগুলোকে বিদেশি মালিকানা থেকে উদ্ধার করে দেশের মালিকানায় নিয়ে আসেন। আজ আমরা আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে ১ লাখ ১৮ হাজার বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি সমুদ্রসীমার মালিক হয়েছি। এটি কখনোই হতো না, যদি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘের সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত পরিষদ আনক্লস- এর সদস্য না হতেন, সেই সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর না করতেন। আর যে ছিটমহল চুক্তিকে অনেকে গোলামির চুক্তি বলতেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর করা সেই চুক্তির আলোকেই আজ আমাদের স্থলসীমা বেড়েছে।
এসজে
মন্তব্য করুন