বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। পাঁচ বছর আগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ছড়িয়ে পড়া কথিত ফোনালাপ ফাঁস হলে এ মামলা হয়।
সোমবার (১২ জুন) চট্টগ্রাম দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আমীরুল ইসলামের আদালতে এ অভিযোগ গঠন হয়। মামলার অপর আসামি ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমী।
অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আদালতে দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ থেকে দুই আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করলেও শুনানি শেষে তা খারিজ করে দেন আদালত।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আমির খসরুর আইনজীবী নেজাম উদ্দীন বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আদালত দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ সময় তিনি ক্রটিপূর্ণ অভিযোগ গঠনের অভিযোগ তুলে এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিভিশন করবেন বলে জানান।
২০১৮ সালের ৪ আগস্ট চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা দুটি করেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন (সংশোধিত ২০১৩ / ৫৭(২) ধারা) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় এ মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই বাসচাপায় রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হয়। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নামে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ছাত্র আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমির খসরুর একটি কথিত ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে।