বিএনপির পদযাত্রা শেষে চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে নগরীর নুর আহমদ সড়কে বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে ভাঙচুর করা হয়।
বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে নগরীর খুলশী থানার লালখান বাজারে জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের গেটের বিপরীতে প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক ১০০ গজের মধ্যেই দামপাড়া পুলিশ লাইনে নগর পুলিশের সদর দপ্তর। এছাড়াও মাঠে খেলার সময় কয়েকজন স্কুলছাত্রকে মারধর করা হয়। এ ছাড়া দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও ব্যানারে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রচার সেলের সমন্বয়ক ও নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক বলেন, তারা উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারণায় ছিলেন। তখন খবর পান বিএনপির পদযাত্রা শেষে লালখান বাজারে মূল নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কার্যালয়ে তখন নেতাদের মধ্যে কেউ ছিলেন না। কয়েকজন কর্মী ছিল। সেই সুযোগে বিএনপির নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে।
নগর বিএনপির সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী জানিয়েছেন নির্বাচনী কার্যালয়ে কারা হামলা করেছে তা তারা জানেন না। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা কর্মসূচি শেষ করেছি। দলীয় কার্যালয়ে হামলার খবর শুনে ছুটে যাই। বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ছেলেরা খেলছিল, তাদের দলীয় কর্মী মনে করে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
তিনি আরও বলেন, তারা কার্যালয় ভাঙচুর করেছে, দুটি মোটরসাইকেল ভেঙেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি ভাঙচুর করেছে।
এদিকে, হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে লালখান বাজার মোড় থেকে ওয়াসার মোড় পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবল জানান, নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ।