ঢাকাবুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মাছ ব্যবসায়ী

টাঙ্গাইল (দক্ষিণ) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ , ০৮:১২ এএম


loading/img
ছবি : সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে জাকের পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন সখীপুর উপজেলা জাকের পার্টির মৎস্যজীবী ফ্রন্টের সভাপতি আব্দুল জলিল। তিনি একজন মাছ বিক্রেতা। তিনি দলের কাছে মনোনয়ন চাননি। এরপরও তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। দুই উপজেলায় প্রচারণা চালাতে কমপক্ষে তার ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। এই মুহূর্তে তার হাতে নগদ কোনো টাকা নেই। ব্যাংকে আছে মাত্র দুই হাজার টাকা। তাই তিনি নির্বাচনের ন্যূনতম খরচ চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন। তিনি জেলার সখীপুর উপজেলার বৈলারপুর গ্রামের মৃত বারেক মিয়ার ছেলে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সাতটি রাজনৈতিক দলের সাতজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাছায়ের সব প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। প্রার্থীরা হচ্ছেন- বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), অনুপম শাজাহান জয় (আওয়ামী লীগ), রেজাউল করিম (জাতীয় পার্টি), পারুল আক্তার (তৃণমূল বিএনপি), আবুল হাশেম (বিকল্পধারা বাংলাদেশ), আব্দুল জলিল (জাকের পার্টি) ও মোস্তফা কামাল (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, বিধি মোতাবেক একজন সংসদ সদস্য প্রার্থী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। আব্দুল জলিল নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় বাৎসরিক আয় উল্লেখ্য করেছেন ২ লাখ ৪০ হাজার। অনুরূপ টাকা ব্যয়ের খাতেও উল্লেখ্য করেছেন। ফলে তার হাতে কোনো নগদ টাকা নেই। পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন মাছ ব্যবসা।

বিজ্ঞাপন

কীভাবে নির্বাচনের খরচ চালাবেন জানতে চাইলে আব্দুল জলিল বলেন, আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ধার করব। আমার একটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরের মাছ বিক্রি করলে ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। এই আড়াই লাখ টাকা দিয়েই নির্বাচন চালাতে হবে। এই অল্প টাকায় নির্বাচন শেষ করা তার জন্য খুবই কষ্টের হবে। এজন্য তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। দল থেকে কোনো আর্থিক সহযোগিতা না পাওয়ার কথা বলেন তিনি।  

আব্দুল জলিল আরও বলেন, আমি পড়াশোনা করিনি। শুধু নাম দস্তখত করতে পারি। আমি লোক মুখে শুনেছি অনেক অশিক্ষিত লোকও জনগণের ভোটে এমপি হয়েছে। জনগণ ভোট দিলে এমপি হওয়া অসম্ভব কিছু না। সব আল্লাহর ইচ্ছা। আমি এমপি নির্বাচিত হলে আমি কোনো টাকা পয়সা খাব না। শুধু মানুষের কল্যাণে কাজ করব।

নির্বাচনের জয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, অনেকে ৫০ বছর রাজনীতি করেও দলীয় মনোনয়ন পাননি। আর আমি চাওয়ার আগেই পেয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি অবশ্যই বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো।

বিজ্ঞাপন

সখীপুর উপজেলার বৈলারপুর গ্রামের বিএনপির সাবেক নেতা শরিফ পাপ্পু বলেন, প্রায় ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করছি, এমপি তো দূরের কথা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করার সাহস পাই না। জলিলের বাবা একজন শ্রমজীবী মানুষ ছিলেন। তার মা মানুষের বাড়িতে কাজ করেছেন সারাজীবন। আব্দুল জলিল মাছ বিক্রি করে সংসার চালান। তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি আমাদের গ্রামের জন্য গৌরব।

বিজ্ঞাপন

সখীপুর উপজেলা জাকের পার্টির সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, ২০০৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমি এ দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। এরপর আর কোনো কমিটি হয়নি। সখীপুরে এখন জাকের পার্টি অনেকটা নিষ্ক্রিয়। দলের প্রার্থী আব্দুল জলিলকে আমি চিনিনা। কখনও দেখেছি বলে মনে হয় না। আমি যেহেতু দলে নিষ্ক্রিয় সেহেতু এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |