প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাচ্ছেন ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাচ্ছেন ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে। বিশ বিলিয়ন ডলার তিনি চাচ্ছেন। আর চীনে যাওয়ার জন্য অনুমতি নিতে হয়েছে। দিল্লির অনাপত্তিপত্র নিয়ে চীন যাচ্ছেন তিনি।’
শুক্রবার (৫ জুলাই) ঢাকা মহানগর শ্রমিক দল আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, শ্রমিকদল নেতা সুমন ভূঁইয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল করে শ্রমিকদল। বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল-ফকিরাপুল মোড় হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা বলছেন- শেখ হাসিনা চীনে যাচ্ছেন তাতে ভারতের কোনো আপত্তি নেই। প্রধানমন্ত্রী চীন যেতে ভারতের সার্টিফিকেট নিতে হয়, তাহলে কোথায় আজ স্বাধীনতা? যে স্বাধীনতার পতাকা এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের রক্ত দিয়ে অর্জন করেছিলেন সেটা আজ কোথায়? ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম সেটা আজ কোথায়? আজ ভারতের অনুমতি নিয়ে শেখ হাসিনাকে চীন যেতে হয়, এ লজ্জা আজ এই জাতির। এমন কাজ বেগম খালেদা জিয়া কখনো করেননি।
তিনি বলেন, আজ কাঁচা মরিচের দাম ৩২০ টাকা কেজি, শাকসবজির দাম সেঞ্চুরি পার হয়ে গেছে। টমেটোর ডাবল সেঞ্চুরি পার। শ্রমিকরা এই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে পারবে না। শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।
বিএনপির এ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এই যে অনাচার, জনগণের পেটে লাথি মেরে শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ করে দিয়েছেন কোটি কোটি টাকা লুটপাটের। বেনজীর-আজিজদের শুধু এক/দুই কোটি টাকা নয়, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছেন।’
রিজভী আরও বলেন, সবক্ষেত্রে শেখ হাসিনার কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। সুমন ভূঁইয়াদের কারাগারে নিলে সবুজরা রাজপথে বের হবে। হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার, নির্যাতন করে নেতাকর্মীদের দমন করা যাবে না। একনায়কতন্ত্র কায়েম করে হিটলার-মুসোলিনিরা রেহাই পায়নি, আপনিও পাবেন না। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিন। সুমনসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দিন।
মিছিলে আরও অংশ নেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, দলের সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, মামুন মোল্লা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, ওলামা দলের আহ্বায়ক সেলিম রেজা, সদস্য সচিব আবুল হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুগ্ম আহ্বায়ক রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি জাহিদুল কবির, শ্রমিক দলের নেতা সবুজ, শাহ আলম, যুবদলের নেতা মেহেবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল নেতা ডা. আউয়াল, মাসুদুর রহমান, রাজু আহমেদ, ইমাম হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন