একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-২ আসন থেকে মনোনয়ন চান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ড. দীপায়ন সরকার।
গেলো ১২ নভেম্বর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয় থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তিনি।
জানা যায়, ড. দীপায়ন সরকার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে।
এক এগারোর পর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। এজন্য তাকে কারাবরণও করতে হয়েছে। সেইসময় ১৫ আগস্টে কালোব্যাজ ধারণ করা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কালোব্যাজ ধারণ করার জন্য দীপায়ন সরকারকে ক্যাম্পাস থেকে গ্রেপ্তার করে তৎকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কেবল তৎকালীন প্রশাসন নয়, তাকে লড়াই করতে হয়েছিল শিবির, ছাত্রদল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধেও। বহুবার হত্যার হুমকি এমনকি আক্রমণও করা হয়েছিলো তার উপর।
ড. দীপায়ন সরকার আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমি রাজনৈতিক সচেতন পরিবারেই বেড়ে উঠেছি। যদিওবা সরাসরি রাজনীতির শুরু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আমায় অনুপ্রাণিত করে, পথ দেখায় ঘুরে দাঁড়াতে। তাই আমিও চাই বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার আদর্শে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে অবিরাম কাজ করে যেতে।
তিনি আরও বলেন, তারুণ্যের প্রতিনিধি সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্লোগান ‘তরুণরাই গড়বে দেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ।’ তা বাস্তবায়ন কেবল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেই করতে পারে। আসন্ন নির্বাচনে আমি মনোনীত হলে নেত্রীকে বিজয় উপহার দিতে পারব। সেইসঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এলাকায় কাজ করে যাব।
ড. দীপায়ন সরকার ছাত্রাবস্থায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক, পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও বর্তমানে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন সফল আইটি ব্যবসায়ী।
প্রসঙ্গত, এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।
আরও পড়ুন :
- যতো ষড়যন্ত্রই হোক বিএনপি নির্বাচনে থাকবে: মওদুদ আহমদ
- মনোনয়ন পেতে কেন্দ্র ও দলের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টায় প্রার্থীরা
জেবি/পি