• ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
logo
মেঘনায় নৌকাডুবি, ২ জেলের মরদেহ উদ্ধার
নোয়াখালী হাতিয়ার মেঘনা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় ২ জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে আরও দুইজন।  শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৪টার দিকে হাতিয়ার বুড়ির দোনা ঘাটের দক্ষিণে মেঘনা নদীতে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।  নিহত আব্দুল হাসেম (৫০) বুড়িরচর ৯নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে ও মো. জুয়েল (২৭) একই এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে। তারা সম্পর্কে আপন মামা-ভাগিনা। স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে ২৪ জন জেলে নিয়ে হাতিয়ার বুড়ির দোনা ঘাটের দক্ষিণে মেঘনা নদীতে বেহুন্দী জাল বসানোর জন্য যায় রবিয়ল মাঝির নৌকাটি। শুক্রবার ভোরে ডুবো চরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাদের নৌকাটি উল্টে যায়। ২০ জন সাতরিয়ে কূলে উঠলেও ৪ জন উঠতে পারেনি। পরে স্থানীয়রা গিয়ে নৌকার ভিতরে থাকা ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। দেলোয়ার ও ইরান নামে অন্য দুজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে । এই ঘটনায় নিহত জেলেদের গ্রামের বাড়ি বুড়ির চরের কালির চরে শোকের মাতম চলছে।  এ বিষয়ে নলচিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ টিটু কুমার নাথ জানান, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা মৃত জেলেদের পরিবারে সঙ্গে কথা বলেছি। লাশ দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের আমরা চেষ্টা করছি। আরটিভি/এএএ/এস 
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪০

বান্দরবানে ১৫ বছর পর নৌকাবাইচ
দীর্ঘ ১৫ বছর পর বান্দরবানে অনুষ্ঠিত হলো নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। আর এ প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে ভিড় জমিয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ।  শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় উজানিপাড়া সমিল ঘাটে এ প্রতিযোগিতা হয়। আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে নৌকাবাইচসহ বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেগুলো পুনরায় ফিরিয়ে আনা ও যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে বান্দরবান সম্মিলিত ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে নৌকাবাইচ, প্রীতি ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, অ্যাথলেটিক্স, বলিখেলা, তৈলাক্ত বাঁশ আরোহণসহ মোট ১১টি খেলার আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হলো নৌকাবাইচ। এ প্রতিযোগিতায় জেলা সদরের নারী-পুরুষ মিলে ১৮টি দলে মোট ১৪৪ জন অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাইর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, অ্যাডভোকেট উবাথোয়াই মারমা প্রমুখ। আরটিভি/এএএ/এআর  
২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪

আর ৭৫ বছর পরেই বিশ্ব মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে মালদ্বীপ! 
পর্যটকদের স্বপ্নের মালদ্বীপ! যেখানে স্বচ্ছ নীল জলের সৌন্দর্য যে কারোই মন কাড়ে। এছাড়া কাঁচা নারিকেলের গন্ধ ভেসে আসা বাতাস, আর সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য সারা পৃথিবীর ভ্রমণপিপাসুদের মন জয় করে নেয় যে দেশ। সে দেশটিই কি না হারিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব মানচিত্র থেকে। প্রতিনিয়ত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার তলানিতে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দিন গুনছে পুরো দ্বীপপুঞ্জ। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি কার্বন নিঃসরণের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকে, তবে ২১০০ সালের শেষের দিকে মালদ্বীপ সমুদ্রের অতল গহ্বরে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মালদ্বীপের গড় উচ্চতা মাত্র দেড় মিটার, যা পৃথিবীর সবচেয়ে নিচু বসবাসযোগ্য এলাকা। এমনকি ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে, যদি সমুদ্রের স্তর আর এক মিটার বাড়ে, তবে মালদ্বীপের অসংখ্য দ্বীপপুঞ্জ পানির নিচে তলিয়ে যাবে। কেমন হবে তখন? যেখানে লাখ লাখ মানুষ জীবনের ছন্দে, সংস্কৃতির আদলে এই স্বপ্নের দেশে বেড়ে উঠেছে, সেই স্থান একসময় হয়তো শুধুই জলরাশির বুকে মিলিয়ে যাবে। কিন্তু, মালদ্বীপের মানুষরা আজও বেঁচে আছেন নিজেদের কিছু ঐতিহ্যের গল্পে। প্রচলিত আছে মালদ্বীপের মানুষ মনে করেন, তাদের দ্বীপগুলো প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের সঙ্গে এক অতিপ্রাকৃত রহস্যও লুকিয়ে রেখেছে। স্থানীয়দের কাছে প্রচলিত গল্প অনুসারে, এক ভিনদেশি জাদুকর দ্বীপের এক মেয়ে রাজকুমারীকে মুগ্ধ করে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজকুমারী রাজি না হওয়ায়, জাদুকর ভয়ংকর অভিশাপ দেয় এই দ্বীপকে, যাতে এখানকার লোকজন সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে তলিয়ে যায়। এই মিথ আজও অনেকের মনে গেঁথে আছে।  আবার আরেকটি গল্পে শোনা যায়, মালদ্বীপে প্রাচীনকালে সমুদ্রের নিচে এক সমুদ্র দেবতার বাস ছিল, যিনি প্রতি বছর মানুষের কাছ থেকে উৎসর্গ দাবি করতেন। স্থানীয় জনগণ তাকে সন্তুষ্ট রাখতে প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট দিনের রাতে পানিতে আলোকিত নৌকা পাঠাত। বর্তমানে এটি প্রচলিত না থাকলেও এখনও মালদ্বীপে মালিকি রাত্রি নামের একটি উৎসব পালিত হয়, যেখানে স্থানীয়রা সমুদ্রের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশেষ নৌকা সাজিয়ে পানিতে ভাসায়। মালদ্বীপের অন্যতম আকর্ষণ প্রবালপ্রাচীরের মধ্যেও রয়েছে রহস্যময় জীবনের গল্প। তারা বিশ্বাস করেন, এই প্রবালপ্রাচীর হলো তাদের প্রাচীন পূর্বপুরুষদের আত্মার প্রতীক, যারা আজও তাদের রক্ষা করছে। এই কারণে, প্রবালপ্রাচীরের ক্ষয়ক্ষতি হওয়াকে তারা মনে করেন নিজেদের ভবিষ্যতের ওপর বিপদের ছায়া হিসেবে। তবে এতকিছুর পরেও মালদ্বীপ হাত গুটিয়ে বসে নেই। দেশটির সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করছে। এরজন্য কৃত্রিম দ্বীপ গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়া প্রবালপ্রাচীরগুলোকে পুনঃসংস্কার করে তারা সাগরের ঢেউয়ের ধাক্কা থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছে। আরটিভি/এফআই
২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৪৪

মাছ ধরা নৌকার সঙ্গে ভারতীয় সাবমেরিনের সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি সাবমেরিনের সঙ্গে দেশটির একটি মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় নৌকা থাকা দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দেশটির গোয়া উপকূলে এ ঘটনা ঘটে এবং সাবমেরিনে ১৩ জন ক্রু ছিল। তাদের মধ্যে ১১ জন ক্রুকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনার পরই ভারতীয় নৌবাহিনী ব্যাপক আকারে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। উদ্ধার অভিযানে ছয়টি জাহাজ এবং বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় মাছ ধরা নৌকার দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছে। অন্যদিকে সাবমেরিন থেকে ১১ জন ক্রুকে উদ্ধার করা হয়েছে।  ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গোয়া উপকূল থেকে ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে মাছ ধরা নৌকা মারথমার সঙ্গে সাবমেরিনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিখোঁজ দুই জেলের সন্ধানে মেরিটাইম রেসকিউ কোঅর্ডিনেশন সেন্টার মুম্বাইয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া ওই এলাকায় কোস্টাগার্ডও মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কীভাবে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তার কারণ উদঘাটনে তদন্তের কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।  আরটিভি/কেএইচ/এআর
২২ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৫২

কৃষক হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে কৃষক সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় ৩ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক কানিজ ফাতিমা এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার জয়ানপুর গ্রামের আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে শাকিল শেখ (১৯), একই গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে নায়েব আলী (৪০) ও সলঙ্গা থানার ঘুরকা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪২)। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে কৃষক সাইফুল ইসলাম তার স্ত্রী আলেয়া খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশের বজলুর রহমানের চায়ের দোকানে যান। এ সময় অন্তিম দাস নামে এক যুবক কৃষক সাইফুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সাইফুলকে না পেয়ে থানায় একটি জিডি করেন। পরে তদন্তকালে পুলিশ শাকিল শেখ নামে এক যুবককে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, আব্দুর রাজ্জাক, নায়েব আলী, অন্তিম দাসসহ অজ্ঞাত ৬ থেকে ৭ জন সলঙ্গা থানার ফরিদপুর এলাকায় নৌকায় তাস খেলছিলেন। খেলা শেষ করে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সাইফুল ইসলামকে শ্বাসরোধে তারা হত্যা করে। এরপর মরদেহ ঘুরকা খালের কচুরিপানার মধ্যে ঢেকে রাখে। যা পুলিশ রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে উদ্ধার করে।  এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালতের বিচারক আজ তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ আলী বলেন, তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আসামি অন্তিম দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আরটিভি/এফআই
৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৪২

রহস্যেঘেরা ফেরাউন কুফুর সৌরনৌকা
বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য মিশরের দ্য গ্রেট পিরামিডে রয়েছে ছোট বড় ছয়টি পিড়ামিড। তার মাঝে সবচেয়ে বড় পিড়ামিডের নাম কুফুর পিড়ামিড। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে মিশরীয় প্রত্নতাত্ত্বিক কামাল আল-মালাখ খুফুর পিরামিডের দক্ষিণ পাসে খননকার্য পরিচালনা করে আবিষ্কার করেন ৪২ মিটার লম্বা একটি নৌকা।  খুফুর পিরামিডে প্রাপ্ত এই নৌকাটি বিশ্বের প্রাচীনতম ‘সৌরনৌকা’ বা ‘সোলার বোট’ (Solar Boat)। আর এই নৌকার সংগে জরিয়ে রয়েছে আশ্চর্য এক রহস্য। প্রাচীন মিশরীয়রা বিশ্বাস করতেন, মানুষের মৃত্যুর পরেও একটি পৃথক জীবন রয়েছে। মৃত্যু পরবর্তী বিচারের পর সেই পরলৌকিক জগতে মানুষ আশ্রয় পায় সূর্যদেবতা ‘রা’-এর কাছে। সূর্যদেবতার কাছে খুফুকে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই, এই বিশেষ নৌকাটিও সমাধিস্থ করা হয়েছিল তাঁর দেহের সঙ্গে। সেই কারণেই ‘সৌরনৌকা’ হিসাবে পরিচিত এই জাহাজ। শুধু খুফুই নয়, একাধিক মিশরীয় ফ্যারাও-এর সমাধিতেই এই একই ধরনের নৌকার হদিশ পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। তাহলে এই নৌকার বিশেষত্ব কী? আর তা নিয়ে রহস্যই বা কেন? আসলে, গিজার গ্রেট পিরামিডের নিচে যে গোপন কক্ষে সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল এই নৌকার, সেটি সম্পূর্ণভাবে এই পিরামিডের নিচে অবস্থিত নয়। বরং, তা পিরামিডের একপাশে অবস্থিত। খুফুর পিরামিডের মধ্যে দিয়ে সরু সুড়ঙ্গের মাধ্যমে সংযুক্ত এই কক্ষটি। একদল গবেষকের অনুমান, আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগে এই কক্ষটির উপরেও দাঁড়িয়ে ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি পিরামিড। যা সময়ের সঙ্গে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে গেছে কিংবা তা ধ্বংস করেছিলেন খোদ খুফুই। এখানেই শেষ নয়। সাধারণত, ফ্যারাওদের সমাধিতে যে-সকল ‘সৌরনৌকা’ সমাধিস্থ করা হত, সেগুলি বিশেষভাবে তৈরি করা হত ফ্যারাও-এর মৃত্যুর পর। অর্থাৎ, প্রায় নতুন অবস্থাতেই পিরামিডের মধ্যে বন্দি করা হত সেগুলিকে। অথচ, খুফুর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। সমাধিস্থ করার আগে এই নৌকা রীতিমতো ব্যবহৃত হয়েছে, তার স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছেন গবেষকরা। লেবানিজ সিডার উডে তৈরি এই নৌকায় ছাপ রয়েছে গেছে জলের। এবং সেই ছাপও একাধিক স্তরের। পাশাপাশি এই নৌকার গঠনও বেশ আশ্চর্যকর। নৌকাটির ভার একদিকে বেশি। ডেকের ওপরেও রয়েছে একাধিক আচড়ের দাগ। প্রশ্ন ওঠে, কেন এমন অসম ভারের নৌকা তৈরি করা হয়েছিল খুফুর জন্য? এই অসম নৌকা ব্যবহৃত হত কীভাবে? আর ডেকের দাগ গুলিই বা কীসের? গবেষকদের একাংশের মতে, এই নৌকা করেই খুফুর মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়েছিল পিরামিডে। আবার অনেকের বিশ্বাস, এই পিরামিড তৈরির পাথর নিয়ে আসার জন্যই ব্যবহৃত হত এই নৌকা। সেই কারণেই জলের দাগ। এমনকি পাথরের ওজনের ভারসাম্য বজায় রাখতেই একদিকে নৌকার ভার বেশি রেখেছিলেন কারিগররা। অবশ্য কোনো তত্ত্বের পিছনেই যুক্তিযুক্ত কোনো প্রমাণই দিতে পারেননি গবেষকরা। আজও অনুসন্ধান চলছে এই রহস্যের।  সারে চার হাজার  বছরের প্রাচীন এই সৌর নৌকাটি গত বছর  পিরামিডের পাশ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মিশরের নতুন যাদুঘর ' দ্য গ্র্যান্ড মিউজিয়ামে'।
১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৩৬

রামুতে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচে চ্যাম্পিয়ন ‘মায়ের দোয়া’
কক্সবাজারের রামুতে বাঁকখালী নদীর ২ তীরে হাজারো মানুষের মারো মারো ধ্বনি আর নাচে গানে উৎসব আমেজে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অফিসেরচর ‘মায়ের দোয়া’ নৌদল। রানার্স আপ হয়েছে অফিসেরচর ফুটন্ত গোলাপ নৌদল এবং তৃতীয় স্থান লাভ করেছে অফিসেরচর সোনার তরী নৌদল। প্রতিযোগিতায় অফিসেরচর ফুটন্ত গোলাপ নৌদলের ইসনান সেরা খেলোয়াড় (বেত ধারক) এবং অফিসের চর মায়ের দোয়া নৌদলের কলিম উল্লাহ সেরা খেলোয়াড (দারি) এর পুরস্কার পান। রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের বৃহত্তর অফিসেরচর ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বাঁকখালী নদীতে আয়োজন করা হয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা।  অফিসেরচর আতিক্কাবিবির ঘাট সেতুর দক্ষিণ পাশে বাঁকখালী নদীতে অফিসেরচর আন্তঃনৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা-২০২৪ দেখার জন্য দুপুর থেকে দূরদূরান্তের হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠে নদীর দুই তীর। জাতীয় সংগীত, আতশবাজির মাধ্যমে এ ক্রীড়া উৎসবের শুভ সূচনা করা হয়। আয়োজকরা জানান, অফিসেরচর গ্রামের ৪টি নৌদল এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। দলগুলো হচ্ছে- বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অফিসেরচর দ্য ইয়াং বাহুবলী, অফিসেরচর ফুটন্ত গোলাপ, অফিসেরচর ওল্ড ইজ গোল্ড, অফিসেরচর সোনার তরী, অফিসেরচর রাউনাফ ও অফিসেরচর মায়ের দোয়া। ৬টি দলের মধ্যে প্রথম রাইন্ড, সেমি ফাইনাল, ফাইনাল ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণসহ মোট ১০ ফাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় পরিচালনায় ছিলেন রেফারি ওমর ফারুক মাসুম। খেলা শেষে খেলোয়াড়দের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন রনি। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী হাবিবুল হক কোম্পানি, ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন কোম্পানি, অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।  সফলভাবে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হওয়ায় সর্বস্তরের ক্রাড়ীমোদীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন বৃহত্তর অফিসেরচর ক্রীড়া পরিষদের নেতৃবৃন্দ। আরটিভি/এমকে
১১ অক্টোবর ২০২৪, ২২:৪৬

জিবুতির উপকূলে নৌকাডুবি, নিহত ৪৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী
আফ্রিকার দেশ জিবুতির সমুদ্র উপকূলে অভিবাসীবাহী দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ৪৫ জন মারা গেছেন৷ জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএম এ তথ্য জানিয়েছে৷ নৌকাডুবির ওই ঘটনায় নিখোঁজও রয়েছেন অনেকে৷ ৩০ সেপ্টেম্বর জিবুতির উত্তর-পশ্চিম দিকে খোর আঙ্গার অঞ্চলের সৈকত থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে জিবুতির কোস্টগার্ড৷ ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেন থেকে দুইটি নৌকায় ৩১০ জন অভিবাসী রওনা হয়েছিলেন৷ মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স-এ দেয়া এক পোস্টে আইওএম বলেছে, এখন পর্যন্ত ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে৷ অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টায় সংস্থাটি কাজ করছে বলেও জানানো হয়েছে৷ এদিকে জিবুতির কোস্টগার্ড জানায়, নৌকাডুবির পরপরই ফরাসি নৌবাহিনীর সহায়তায় যৌথ উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়৷ এতে এ পর্যন্ত ১১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে৷ সংঘাত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশগুলোতে পৌঁছাতে চান হর্ন অব আফ্রিকার হাজার হাজার মানুষ৷ এজন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লোহিত সাগর পাড়ি দিতে চান তারা৷ এই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা প্রায়ই বিপদের মুখে পড়েন৷ এ বছরের এপ্রিলে জিবুতিতে ওবক শহরের কাছে শিশুসহ অন্তত ৭৭ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে বহন করা একটি নৌকা ডুবে ২৪ জন নিহত হন৷ গত দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি দ্বিতীয় নৌকাডুবির ঘটনা৷ এর আগে আগস্টে ইয়েমেনের তায়েজ জেলার উপকূলে একটি নৌকা ডুবে অন্তত ১৩ জন মারা গেছেন৷ আরটিভি/এএইচ
০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৬

পানিতে ভাসছে সিমেন্টের নৌকা, দেখতে মানুষের ভিড়
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পানিতে ভাসছে সিমেন্টের নৌকা। এ নৌকা দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে নানা বয়সের অসংখ্য মানুষ। তাদের নৌকায় চড়ে ঘোরাঘুরি করতেও দেখা যায়। তবে কাঠের তৈরি নৌকার চেয়ে সিমেন্টের নৌকায় ভ্রমণ নিরাপদ বলে জানিয়েছেন নৌকা দেখতে আসা দর্শনার্থীরা। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের বড় কাঞ্চনপুর এলাকায় গিয়ে এমনি চিত্র দেখা য়ায়। সরেজমিনে দেখা যায়, চারিদিকে সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক দৃশ্য। মাঝে একটা মৎস্য খামার। এই মৎস্য খামারে দেখা মিলছে সিমেন্টের নৌকা। রাত পোহালেই নৌকা দেখতে ও ভ্রমণ করতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসে নারী, পুরুষ, শিশুসহ অনেকেই। কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের বড় কাঞ্চনপুর এলাকায় ইব্রাহিম নামে এক যুবককের মৎস্য খামারিতে নৌকাটি দেখা মিলে। দুই থেকে তিন মাস আগে এক ব্যক্তির পরামর্শে গাজীপুর সদর সালনা এলাকা থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ করে সিমেন্টের নৌকাটি কিনে আনেন ওই  খামারী। রড, বালু, ইটৈর খোয়া ও সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নৌকাটি। নৌকাটির লম্বা ১২ ফিট, চৌরা (পাশ) ৫ ফিট।   এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ও উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে নৌকাটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন অসংখ্য মানুষ।  গাজীপুর থেকে আসা কয়েকজন দশনার্থী ইকবাল, ইফতি, তুরশা, সামিহা জানান, কাঠের নৌকায় হেলে ঢুলে। কিন্ত সিমেন্টের নৌকা হেলে ঢুলে না । তাই সিমেন্টের নৌকা অনেক নিরাপদ। সিমেন্টের নৌকায় কখনো উঠেনি তাই এখানে এসেছি। নৌকায় অনেক ভাল লাগলো। মৎস্য খামারি ইব্রাহিম মৃধা জানান, কাঠের নৌকা বেশি টেকসই হয় না। তাই মানুষের পরামর্শে সিমেন্টের এ নৌকাটি এনেছি। এ নৌকা দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ আসে। নৌকাটির দাম কম হলেও অনেক মজবুত ও শক্ত।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১২

পদ্মায় নৌকাডুবি, নিখোঁজ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীর পদ্মায় চর মাঝারদিয়ারে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হওয়া চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে প্রথমে চর খানপুর থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। পরে রাত তিনটার দিকে আরও দুজনের মরদেহ ভেসে উঠলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতরা হলেন- চর মাজারদিয়ার এলাকার রাজু (২২), সবুজ (২০), ফারুক (১৯) ও মোহাম্মাদ আলী (৩৮)। তারা সবাই চর মাঝারদিয়ারের বাসিন্দা। এর আগে, রোববার রাত ৮টার দিকে পদ্মা নদী দিয়ে দুটি ছোট নৌকায় ১৬ জন কৃষক ও শ্রমিক টমেটোর জমিতে কাজ করে এক চর থেকে আরেক চরে ফিরছিলেন। এ সময় চর মাঝারদিয়া ঘাটের কাছাকাছি আসলে ১টি নৌকা ডুবে যায়। নৌকায় থাকা ১০ জনের মধ্যে ৬ জন সাঁতার কেটে নদীর পাড়ে আসতে পারলেও ৪ জন নিখোঁজ হন। পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত জানান, সোমবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে মৃতদেহ ভেসে উঠলে চর খানপুর এলাকা থেকে প্রথমে মোহাম্মদ আলী ও রাজুকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এরপর রাতে সবুজ ও ফারুককে একই এলাকার পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় জানাজা শেষে চর মাঝার দিয়ার এলাকার গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাদের।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়