বিআরটিসির বাসগুলো এতো তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় কেন, ক্ষুব্ধ সেতুমন্ত্রীর প্রশ্ন
বিআরটিসি দেউলিয়া হলে আপনারাও দেউলিয়া হয়ে যাবেন। বিআরটিসিকে আমি দেউলিয়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চাই না। বিআরটিসির বাসগুলো এতো তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় কেন?, এসি নষ্ট হয়ে যায়, জানালার কাচ থাকে না, এটা কেন? যারা এর দায়িত্বে আছেন তারা কি দেখেন না? বললেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (২৬ মে) দুপুরে বিআরটিসি ভবনে ‘বিআরটিসি ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ শীর্ষক পর্যালোচনা ও মতবিনিময় সভা এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের মধ্যে গ্রাচ্যুইটির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রাধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার ঈদের যাত্রা অনেক সহজ ও স্বস্তির হবে। তবে গাজীপুরে কিছুটা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। পরিবহনগুলো যদি শৃঙ্খলা মেনে চলে তাহলে সড়কে যানজট থাকার কথা নয়। আমি বলে দিয়েছি, গাজিপুরের সড়কে ঈদ পর্যন্ত কোনও পাইলিং হবে না। এছাড়া বাকি রাস্তা যান চলাচল উপযোগী রয়েছে। পরিবহনগুলো যদি শৃঙ্খলা মেনে চলে তাহলে সড়কে যানজট থাকার কথা নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সড়ক পথে একটা স্বস্তিদায়ক যাত্রা যেন নিশ্চিত করতে পারি, সে জন্য এসেছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সড়ক পরিবহনে বৈজ্ঞানিক পরিবর্তন শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, বিআরটিসির বহরে নতুন গাড়ি সংযুক্ত হয়েছে। ঈদের আগে ২৭১টি বাস যুক্ত হবে। ৫০০টি ট্রাকের মধ্যে ৪৮০টি চলে এসেছে। নতুন গাড়িগুলো ছাড়াও এবারের ঈদে সর্বমোট এক হাজার ৮৯টি গাড়ি চলবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিআরটিসিতে নতুন ৬০০ গাড়ি এসেছে। আরও ছয় হাজার এলেও সমস্যার সমাধান হবে না, যদি শৃঙ্খলায় না আসি। ঈদের সময় বিআরটিসিতে ভাড়া বেশি আদায়ের অভিযোগ আছে। সরকারি গাড়িতে যদি এমন হয়, তাহলে বেসরকারি গাড়ির কী হবে?’
বিএনপি যদি সহিংস রাজনীতি করে তাহলে তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া বলেন, ‘গত ২০ মে থেকে বিআরটিসি’র অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ২৭ মে থেকে স্পেশাল সার্ভিস শুরু হবে।’
এসজে/এসএস
মন্তব্য করুন