রাঙামাটিতে ভোট কর্মকর্তাদের বহরে গুলির ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত।এখানে নিরাপত্তার কোনও অভাব ছিল না। দোষিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার। বললেন প্রধান নির্বাচন কমিনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বাঘাইছড়িতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় আহতদের দেখতে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, নিরাপত্তায় অবহেলা ছিল না। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় ছিলাম। সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ সবাই ছিল। নির্বাচন কর্মকর্তারা যখন মালামাল নিয়ে যাচ্ছিল, বিজিবি’র গাড়ি সামনে প্রটেকশন দিচ্ছিল। যারা পেছনে ছিল, তাদের আক্রমণ করেছে। ঘটনার তদন্ত করে যারাই দোষা সাবস্তী হবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে ।
---------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : মুখ ফসকে সত্য বলে ফেলেছেন সিইসি: রিজভী
---------------------------------------------------------------------
নুরুল হুদা বলেন, যে জায়গায় আক্রমণ হয়েছে সেখানে সংকীর্ণ রাস্তা থাকায়, প্রটেকশনের যে গাড়িগুলো ছিল, সেগুলো সামনে চলে গিয়েছিল। তারা ফিরে আসার আগেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আহতদের চিকিৎসা ব্যায় বহন ছাড়াও নিহতদের পরিবারের আর্থিক ক্ষতিপুরণ দেয়া হবে।
এসময় সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, এই ঘটনায় আহত সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ১০ জন এখন শঙ্কামুক্ত।
সোমবার রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে দুষ্কৃতকারীদের ব্রাশফায়ারে ভোট কর্মকর্তা, আনসার সদস্যসহ মোট আটজন নিহত হন। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচন শেষে ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে ফেরার সময় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন
- প্রথম ধাপের মতো দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনও সুষ্ঠু করতে হবে: সিইসি
- সিইসির অতৃপ্ত আত্মাকে নিজের দেহে ধারণ করেছেন ঢাবির ভিসি: রিজভী
জেএইচ