হালাল খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে রোজা ভাঙা বা খোলার জন্য কিছু খাওয়াই হলো ইফতার। সূর্যাস্তের সময় বেশি দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে হালাল খাদ্য দিয়ে ইফতার করা বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নত। ইফতারের আগে রোজাদার ব্যক্তির ইফতার নিয়ে তাসবিহ-তাহলিল ও তাওবা-ইসতেগফার করা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয়। ইফতার সামনে নিয়ে আল্লাহ’র কাছে কিছু চাওয়া হলে আল্লাহ তার বান্দার ইচ্ছা পূরণ করেন।
ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নত। রোজাদারের ইফতার করার ক্ষেত্রে নিয়ম হলো- সূর্য অস্ত যেতে হবে এবং রাত শুরু হতে হবে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘আর পানাহার কর যতক্ষণ না কালো রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোজা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত।’ – (সূরা বাক্বারাহ, ১৮৭)
হযরত সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- ‘মানুষ ততদিন পর্যন্ত কল্যাণে থাকবে যতদিন তারা অবিলম্বে ইফতার করবে।’ (বোখারী শরীফ, হাদীস নং: ১৮৫৬) (মুসলিম শরীফ , হাদীস নং: ১০৯৮)
এছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, ‘ ৩ ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেয়া হয় না। যখন রোজাদার ব্যক্তি ইফতার করে, ন্যায় পরায়ণ শাসক ও নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া।’ (মুসনাদে আহমাদ, তিরমিজি)
ইফতারের সুন্নত : খেজুর বা খুরমা দিয়ে ইফতার করা উত্তম। তবে এটা সম্ভব না হলে যেকোনো মিষ্টিজাতীয় হালাল খাদ্য দিয়ে ইফতার করা উচিত। যদি এটাও কোনো কারণে সম্ভব না হয় তাহলে অন্য কোনো হালাল খাদ্য বা শুধু পানি দিয়েও ইফতার করা যায়।
এসআর/