ঢাকাবুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২

সূর্যের বিকিরণ চাঁদের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে?

আরটিভি নিউজ 

বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫ , ১১:৪২ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি।

সূর্য শুধু আলো ও তাপই নির্গত করে না। এটি উচ্চশক্তির গামা ও এক্স-রে, এবং বৈদ্যুতিকভাবে চার্জিত কণার একটি প্রবাহ, যাকে আমরা সৌর বায়ু বলি, সেগুলোও মহাকাশে পাঠায়।

বিজ্ঞাপন

পৃথিবীর মতো চাঁদের কোনো চৌম্বকক্ষেত্র বা বায়ুমণ্ডল নেই। সে কারণে সূর্য এবং সৌর বায়ু থেকে বিকিরণ ক্রমাগত চাঁদের পৃষ্ঠে আঘাত করে। যখন সূর্য আলো ছড়ায় তখন চাঁদের পৃষ্ঠ দ্রুত প্রায় ১৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উত্তপ্ত হয়। আর যেখানে ছায়া থাকে, সেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ১৬০ ডিগ্রিতে নেমে যায়। তাপমাত্রার এত বিশাল পরিবর্তনের কারণে চাঁদের মাটিতে চাপ তৈরি হয়। এছাড়া কম্পনও তৈরি হতে পারে। পাথর ধুলোয় পরিণত হওয়ায় ফাটল তৈরি হয়। পুরো চাঁদ বালুতে ঢেকে যায়। কিছু জায়গায় বালুর স্তর ১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। এবং এই ধুলোর ধার ধারালো হয়ে থাকে, যা যন্ত্রপাতি ও মহাকাশচারী উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক হতে পারে।

সূর্য এবং সৌর বায়ু থেকে বিকিরণ চাঁদের পৃষ্ঠের রাসায়নিক গঠনও পরিবর্তন করে। বিকিরণের কারণে চাঁদের ধুলোয় লোহার ক্ষুদ্র ন্যানো পার্টিকেলের পরিমাণ বাড়তে পারে, যা চাঁদের পৃষ্ঠের রং আরও গাড় এবং লালচে করে তোলে। প্রক্রিয়াটি চাঁদের কক্ষপথে প্রোব দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এতে দেখা গেছে, চাঁদের উজ্জ্বল অংশ, যেটি অনেক বেশি সূর্যালোকের সংস্পর্শে থাকে, সেখানকার পাথরের রং অনেক দ্রুত পরিবর্তিত হয়। যখন সৌর বায়ু শক্তিশালী হয়, তখন এর বৈদ্যুতিক চার্জ যুক্ত কণাগুলি চাঁদের শিলা থেকে পরমাণুগুলোকে ছিটকে বের করে মহাকাশে ছড়িয়ে দিতে পারে। চাঁদ তখন মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে ২০০ টন পর্যন্ত উপকরণ হারাতে পারে। সৌর কণাগুলো পাথরে পানিও নিয়ে আসতে পারে এবং তারপর আবার তা ভেঙে ফেলতে পারে। এবং মেরু অঞ্চলে, যেখানে সৌর বায়ু কেবল পৃষ্ঠকে গ্রাস করে, সেখানে এমনকি ক্র্যাটারগুলো বৈদ্যুতিকভাবে চার্জিত হতে পারে। সূর্য থেকে বিকিরণ এবং কণা চাঁদ নিয়ে গবেষণায় বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

আরটিভি/এএইচ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |