ঢাকাসোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

‘নাহিদের পদত্যাগ হয়ে উঠুক শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ঘটনা’ 

আরটিভি নিউজ

বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ০৫:১০ পিএম


loading/img
রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী I ছবি: সংগৃহীত

নাহিদের পদত্যাগ শুধু নতুন রাজনৈতিক বিকাশেই নয়, বরং শান্তি, স্থিতি এবং কাঙ্ক্ষিত ঐক্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও এক যুগান্তকারী ঘটনা হয়ে উঠবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী। 

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন তিনি। পোস্টের শুরুতেই তিনি তরুণ রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সাধুবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ‘প্রিয় নাহিদের জন্য অনন্ত শুভেচ্ছা, অশেষ ধন্যবাদ। ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে নিঃসংকোচে জনতার কাতারে শামিল হওয়ার হিম্মত দেখানোর জন্য।’ 

‘বাংলাদেশের ভাগ্যাহত মানুষের মতো আমিও আশায় বুক বাঁধি—এই দেশে বহুত্ববাদ, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে; মানুষকে ন্যায্য অধিকারের জন্য জীবন দিতে হবেনা; উসকানি মুক্ত একটি সহনশীল পরিবেশ গড়ে উঠবে, যেখানে ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধার জায়গা থাকবে; বৈষম্যের দেয়াল ভেঙে পড়বে; দেশের সব প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা সমুন্নত থাকবে; এবং সর্বোপরি, হঠকারী রাজনীতির বদলে সুস্থ, জনকল্যাণমূলক রাজনীতির বিকাশ ঘটবে’, লিখেছেন রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী। 

বিজ্ঞাপন

বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী সাবেক সাংবাদিক মুশফিক আরো লিখেন, ‘নতুন রাজনৈতিক শক্তির আত্মপ্রকাশ অবশ্যই স্বাগতযোগ্য, এবং তা আবর্তিত হোক জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার এবং জনআকাঙ্খাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়ে । সেই আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নের জন্য তোমাদের সহপাঠীরা জীবন উৎসর্গ করেছে—গুলির মুখে পেতে দিয়েছে নিজের বুক ; মায়ের আচল ছেড়ে আলিঙ্গন করেছে বুলেটের আঘাত; মায়েরাও এগিয়ে দিয়েছে তাদের নাড়ি ছেঁড়া বুকের মানিককে।  তোমাদেরও বরণ করতে হয়েছে অকথ‍্য শারীরিক নির্যাতন।’

বিরোধীদলের ওপর বিগত  স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের দীর্ঘ বছর ধরে গুম-খুন আর নির্যাতনের কথা স্মরণ করে মুশফিকুল ফজল আনসারী আরো লিখেন, ইলিয়াস আলী, সুমন, জাকির, দিনার, রাসেল, রানা, আদনান, মাহবুব, মুন্না, চঞ্চলরা চিরতরে হারিয়ে গিয়েছে হাসিনার গুম ‍রাজ‍্যে। লাখো তরুণের সাকিন ছিলো হাসিনার কারাগার কিংবা ধান-পাটের বিস্তীর্ণ ক্ষেত। এমন বাস্তবতায় আমাদের সামনে যে সুযোগ এসেছে, তা যেন আমরা কাজে লাগাই।’ 

আরও পড়ুন

জনগণের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত মন্তব্য করে তিনি লিখেছেন , 'গণতন্ত্রে জনগণের ইচ্ছাই চূড়ান্ত। জনগণ যাকে চাইবে, তার হাতেই যাবে ক্ষমতার ভার। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি দেশি-বিদেশি শত্রুর মোকাবিলায় অভূতপূর্ব ঐক্য গড়ে তোলা।

নাহিদের এই ত্যাগ শুধু নতুন রাজনৈতিক বিকাশেই নয়, বরং শান্তি, স্থিতি এবং কাঙ্ক্ষিত ঐক্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও এক যুগান্তকারী ঘটনা হয়ে উঠুক—এই আমার একান্ত কামনা।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |