নিয়মিত পাঠদান বন্ধ থাকায় অন্তত চার মাস ক্লাসের পর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরামর্শ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন শ্রেণিকক্ষের বাইরে থাকায় প্রস্তুতি ছাড়া চূড়ান্ত পরীক্ষা বড় চ্যালেঞ্জ। আর শিক্ষাবিদরা বলছেন, প্রয়োজনে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, এ দুটি পরীক্ষা জুন-জুলাই মাস নাগাদ হতে পারে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলেন, দীর্ঘদিন শ্রেণিকক্ষের পাঠদানের বাইরে থাকায় চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় প্রয়োজন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, যতটুকু কলেজে শেষ হয়েছিল ততোটুকুর মাঝে পরীক্ষা নিলে ভালো হতো। বাকিটুকু পড়তে পারছি না। আর সবাই তো অনলাইন ক্লাস করতে পারছে না। বিজ্ঞানের বিষয়গুলো বাসায় বসে পড়া সম্ভব না। অভিভাবক বলেন, কতটুকু স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা হবে তা এখনও বুঝতে পারছি না।
করোনাকালে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস হয়নি। তাই শিক্ষকরা বলছেন, এসএসসি-এইচএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ ধাপে শ্রেষিকক্ষে পাঠদানের বিকল্প নেই।
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক মো. আবুল হাসান বলেন, শিক্ষক হিসেবে আমরাও নিশ্চিত হতে পারছি না, শিক্ষার্থীরা কতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছে। সাধারণত টেস্ট পরীক্ষার পর তারা ফাইনাল পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে তৈরি হয়। শ্রেণিকক্ষে ক্লাসের ব্যবস্থা করা না গেলে শিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপে ঘাটতি রয়ে যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর দে বলেন, মার্চ বা এপ্রিল মাসে যদি ক্লাস করানো যায়, তাহলে তাদের প্রশ্ন নিয়ে ভয় কেটে যাবে।
শিক্ষায় অতিমারির ক্ষতি পোষাতে ও ঝড়ে পড়া রোধে দ্রুত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের তাগিদ দেন শিক্ষাবিদরা।
জিএম/পি