বর্ষায় দুর্ভোগের শেষ থাকে না মিরপুরবাসীর। বিশেষ করে মিরপুর- ১, ২, ৬, ১০ ও ১১ নম্বর এর বাসিন্দাদের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। এ অঞ্চলের বৃষ্টির পানি নামার প্রধান খাল রূপনগর খালের বেহালদশা বলে দেয় এবারের বর্ষাতেও দুর্ভোগ পোহাতে হবে মিরপুরবাসীকে। পরিষ্কার না হওয়ায় ময়লা-আবর্জনায় ভরে আছে খালের অধিকাংশ স্থান। তবে খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদে তৎপর হয়েছে উত্তর সিটি করপোরেশন। যাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন নগরবিদরা।
মিরপুরের পানি নামার অন্যতম রূপনগর খাল। মিরপুর-১ থেকে রূপনগর আবাসিক হয়ে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ভেতর দিয়ে খালটি মিশেছে মিরপুর বেড়ি বাধ এলাকায়। খালের মাঝে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী কালভার্ট পানি প্রবাহের গতি রোধ করেছে। ফলে বৃষ্টি হলে পানি ঠিক মতো স্লুইস গেট কিংবা পাম্প হাউজের পুকুরে আসতে পারে না।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনের মাঝেই চট্টগ্রামে নগর পিতার প্রমোদভ্রমণ!
রূপনগর খালের মাঝে এমন প্রতিবন্ধকতার ফলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় মিরপুরে। ময়লা-আবর্জনায় খালটি ভরে থাকলেও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। তাই বর্ষার আগেই খালটি পরিষ্কার ও খনন করার দাবি এলাকাবাসীর।
স্থানীয়রা বলছেন, এখন তো পানির চাপ কম। বর্ষায় বুঝা যাবে পানির চাপ কতখানি। এছাড়াও কেউ বলছেন, খালগুলো পরিষ্কার করা খুব বেশি জরুরি। শুধু মিরপুরের জন্য নয়, ঢাকার অর্ধেকের জন্য এটা দরকারি।
খাল উদ্ধারে তৎপর হয়েছে উত্তর সিটি। ১৬ মার্চে উত্তরার ১০ নাম্বার খাল উদ্ধারে নামেন সিটি মেয়র নিজেই। এর দু’সপ্তাহ পরে দেখা যায় খালটিতে পানি প্রবাহ ফিরেছে। সরিয়ে ফেলা হয়েছে সকল অবৈধ স্থাপনা।
নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই অনেকগুলো কাজ সেরে রাখতে হবে। যেমন- দখলমুক্ত করে খালগুলোকে প্রবহমান করা। অনেক জায়গাতেই এটা হচ্ছে। এছাড়া ড্রেন এবং খালকে যথাযথভাবে যুক্ত করতে পারে তাহলে অন্যান্য বছরের মতো এবার জলাবদ্ধতার পরিমাণ কমবে বলেও মনে করেন এই পরিকল্পনাবিদ।
বর্ষা নামার আগেই উত্তরের সব খালে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করতে চায় নগর কর্তৃপক্ষ।
এসআর/