মেট্রোরেলের স্টেশন নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে হলেও নতুন জটিলতা তৈরি করেছে ল্যান্ডিং স্টেশন নিয়ে। ওঠা-নামার সিঁড়ি, লিফট আর স্কেলেটর নামানো নিয়ে নগর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই চললেও, জটিলতা কেটেছে বলে দাবি মেট্রো কর্তৃপক্ষের। যদিও জমি অধিগ্রহণের অর্থ না পেলে জায়গা ছাড়বে না বলে জানান ভবন মালিকরা।
তথ্যমতে, মেট্রোরেলের সিঁড়ি আর লিফট কোথায় নামবে তা ঠিক না করেই বানানো হয় স্টেশন। পল্লবী, কাজীপাড়া আর শেওড়াপাড়ায় ল্যান্ডিং স্টেশনের জন্য জায়গা নির্ধারিতই ছিল না। মেট্রো কর্তৃপক্ষ ফুটপাথে সিঁড়ি নামানোর সিদ্ধান্ত নিলে নগর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিরোধ শুরু হয়।
রাজধানীর আট ফুট দৈর্ঘের ফুটপাতের অর্ধেকটা বহু আগেই প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে। আর এখন মেট্রোর সাত ফুট সিঁড়ি নামলে পথচলাই অসম্ভব হয়ে পড়বে। এ নিয়ে অনেক জলঘোলার পর অবশেষে জটিলতার বরফ গলতে শুরু করেছে বলে জানান প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।
এদিকে জমি অধিগ্রহণ করে সিঁড়ি নির্মাণের কথা বলা হলেও, গেল কয়েক মাসে মাপজোক ছাড়া তেমন অগ্রগতি নেই বলে জানান জমির মালিকরা। আবার অধিগ্রহণ হলে ভবন আর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কায় অনেকে।
গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ শামসুল হক বলছেন, অদক্ষতার কারণেই মেট্রোরেল প্রকল্পে ব্যয় বেড়েছে।
তারপরও সব জটিলতা কাটিয়ে মেট্রোরেল চালু হলে নগরবাসীর যাতায়াতের দুর্ভোগ কমবে বলে আশা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।