দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট উচ্ছেদ ও সরকারি ব্যয় কমাতে হবে (ভিডিও)
বাজারে বর্তমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে টাকাকে আরও মূল্যবান করতে নীতি সুদ হার ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতি কমাতে তেমন অবদান রাখবে না বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, বাজারে কার্যকরভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে একচেটিয়া বাজার ব্যবস্থা ও সিন্ডিকেট উচ্ছেদের পাশাপাশি সরকারি ব্যয় কমাতে হবে।
নীতি সুদ হার মাত্র ২৫ পয়েন্ট বৃদ্ধি করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কি সম্ভব? এই প্রশ্নের জবাবে অর্থনীতিবিদ সায়েম আমীর ফয়সাল বলেন, আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার তারা কম করে হলেও ১০০ বেসিস পয়েন্ট প্রতিমাসে বৃদ্ধি করেছিল। এখন আপনি যদি প্রশ্ন করেন যে, বাংলাদেশের সঙ্গে আসলে ২৫ পয়েন্ট বাস্তবসম্মত হবে কি না? তাহলে আমি মনে করি তা গ্রহণযোগ্য কোনো পরিবর্তন আনবে না।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, টাকার মান নিয়ন্ত্রয়ণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যতই পলিসি নিক; সরকারি ব্যয় কাটছাঁট আর সিন্ডিকেট নির্মূল করা না গেলে, তা কোনো কাজেই আসবে না।
অর্থনীতিবিদ ড. আবু আহমেদ বলেন, সরকারি ব্যয় কাটছাঁট করতে হবে। বাজার ব্যবস্থাপনা যদি কিছু লোকের হাতে চলে যায় এবং তারা যদি সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব মুদ্রানীতি কোনো কাজে আসবে না।
এদিকে আইএমএফের ক্রলিং পেগ নীতি মেনে ডলারের বিনিময় হার আরও বাজারভিত্তিক করার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্লেষকরা।
আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত এবং মুদ্রানীতির কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যে স্বস্তির পাশাপাশি অর্থনীতিতেও ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ সায়েম আমীর ফয়সাল বলেন, যতোই আমরা পলিসি ঘোষণা করি না কেন, যদি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ না থাকে তাহলে আকাঙ্ক্ষার জায়গায় পৌঁছাতে পারব না।
মন্তব্য করুন