ঢাকা

ব্যর্থ হলো রাজধানীর ট্রাফিক ডিজিটালাইজের প্রকল্প (ভিডিও)

শরিয়ত খান

বৃহস্পতিবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৪ , ১২:৫২ পিএম


ব্যর্থ হয়েছে রাজধানীর ট্রাফিক সংকেতব্যবস্থা ডিজিটালাইজ করার প্রকল্প। ৫২ কোটি টাকা খরচ করে ফলাফল ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঢাকা ইন্টিগ্রেটেড ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প। ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাবে এটি কার্যকর হয়নি বলে দাবি ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ ডিটিসিএ’র। কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই প্রকল্প নেয়ার কারণে এমন ব্যর্থতা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর গুলশান-১ নম্বর চত্বরের চারপাশে বসানো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেমের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা, অত্যাধুনিক শব্দধারণ যন্ত্র, বাতি, বিশেষায়িত তার ও খুঁটি। এমন আয়োজন দেখে মনে হতেই পারে উন্নত বিশ্বের কোনো মোড়।  

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ছবি ও শব্দের ভিত্তিতে যানবাহনের চাপ নির্ধারণই ছিল উদ্দেশ্য। অথচ পাঁচ বছরের বেশি সময় অলস পড়ে আছে অত্যাধুনিক এসব যন্ত্র। সংকেতবাতি বন্ধ, খুঁটিতে ঝুলছে অলস ক্যামেরা। আধুনিক বাতির নিচে দাঁড়িয়ে হাতের ইশারায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন ট্রাফিক সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

গুলিস্তান মোড়ে ডিজিটাল সিস্টেমের অবস্থা পুরাই নাজুক। এখানে কয়েকটি বাতি ছাড়া পাওয়া যায়নি কিছুই। বাকি দুটি মোড় মহাখালী ও পল্টনের অবস্থাও অনেকটা একই। বেশিরভাগ যন্ত্র পাওয়া যায়নি এসব মোড়েও। অথচ প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, সবকিছুই বসানো হয়েছিল।

২০১৫ সালে রাজধানীর গুলশান-এক, মহাখালী, পল্টন ও গুলিস্তান মোড়ে পরীক্ষামূলকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ট্রাফিক সংকেতব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ‘ঢাকা ইন্টিগ্রেটেড ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট’ নামে প্রকল্প নেওয়া হয়। নয় বছরে চার দফা মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ কোটির প্রকল্পে ৫২ কোটি টাকা খরচ করেও কোনো সুখবর দিতে পারেনি ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ-ডিটিসিএ। 

ঢাকায় এই পদ্ধতির সংকেতবাতি আদৌ চালু করা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, অযান্ত্রিক যানবাহন যদি সিগনালে থাকে এবং যখন সবুজ সংকেত পায় তখন তাদের গতি কিন্তু কাছাকাছি থাকতে হবে। রিকশার গতি ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার আর মোটরসাইকেলে গতি যদি ৬০ কিলোমিটার হয় তাহলে এই সিগনাল কোনোভাবেই কাজ করার সুযোগ নেই।

একেবারে অযৌক্তিকভাবে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |