বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নগরবাসীকে সম্পৃক্ত করতে না পারায় নৈরাজ্য বাড়ছে
উন্নত দেশে সিটি করপোরেশন কর্মীরা সরাসরি বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করলেও রাজধানীর চিত্র উল্টো। বর্জ্য অপসারণের মূল দায়িত্ব নগর কর্তৃপক্ষের হলেও তারা এ দায়িত্ব দিয়েছে তৃতীয় পক্ষকে। অন্যদিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নগরবাসীকে সম্পৃক্ত করতে না পারায় নৈরাজ্য বাড়ছে।
দুই সিটি করপোরেশনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কয়েক হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রতিদিন বর্জ্য সংগ্রহ করেন। খালি হাত-পায়ে প্রতিদিন ঝুঁকির্পূণ নগর বর্জ্য হাতড়াতে হয় তাদের। বাসাবাড়ি থেকে ভ্যানে করে ময়লা এসটিএসে এনে প্লাস্টিক দ্রব্য, কাগজ আর পচনশীল বর্জ্য আলাদা করতে হয়। প্রতি বছর আবর্জনা সংগ্রহের বিল বাড়ালেও বেতন বাড়ে না মাঠ কর্মীদের। আছে সচেতনতার অভাব।
ইজারাদারদের দাবি, স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে ময়লা সংগ্রহকারীদের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের শিলুয়া এন্টারফাইজের স্বত্বাধিকারী কাজী মাসুদ করিম জানান, হ্যান্ড গ্লাভস, জুতা, জ্যাকেটসহ সেফটি ইস্যুতে যা যা দরকার সবই আমাদের আছে। কিন্তু ময়লা সংগ্রহকারীরা শিক্ষিত না হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে তারা বিষয়টা বুঝে না এবং ব্যবহার করে না।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা এখনও কম। আবার অরেক ক্ষেত্রে এলাকাভিত্তিক ময়লাটা কোথায় ফেলতে হবে করপোরেশন থেকে সেটা নিশ্চিত করা হয়নি।
বর্জ্য অপসারণে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত ও অনিয়ম দূর করতে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করার পরামর্শ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খানের।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন বা এসটিএসগুলো প্রধান সড়ক থেকে দ্রুত সরাতে হবে। অনিয়ম দূর করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চত করতে সাধারণের সম্পৃক্ততা জরুরি। ময়লা সংগ্রহকারীদের সুরক্ষায়ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাসযোগ্য নগর গড়তে পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ চান নগরবিদরা।
আরটিভি/আরএ/এস
মন্তব্য করুন