রিলস, শর্টস কিংবা টিকটকে আসক্তদের জন্য দুঃসংবাদ!

কানিজ ফাতেমা শিমু

মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ , ১০:৪২ এএম


অনেকেই ইন্সটাগ্রামের রিলস কিংবা টিকটক ভিডিও দেখতে দেখতে পার করে দিচ্ছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যা আপনার কোনো কাজেই লাগবে না, তাও এই রিলস দেখার নেশা যেনো ছাড়তেই পারছেন না। কিন্তু জানেন কি, এ আসক্তি কখনো কখনো ভয়ংকর হতে পারে? সোশ্যাল মিডিয়ার এমন নিম্নমানের কন্টেন্ট দেখতে দেখতে নিজের মস্তিষ্কের ১২টা( hook) বাজিয়ে দিচ্ছেন। আর এমন আসক্তিকে বলা হয় ব্রেইন রট প্রবণতা (give hook text)। চলুন আরও ভালো করে জেনে নেওয়া যাক।

বিজ্ঞাপন

'ব্রেইন রট' বলতে মূলত অত্যধিক নিম্নমানের অনলাইন কন্টেন্ট দেখার উদ্বেগজনক প্রভাবকে বোঝায়। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ‘ব্রেইন রট’ কীভাবে আমাদের জীবনে এতো প্রভাব ফেলছে? 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবণতা প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ার কমিউনিটিতে ছড়ায়। একঘেয়েমি কাটাতে মানুষ ইনস্টাগ্রাম রিলস কিংবা টিকটক ভিডিও দেখতে শুরু করে। কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে নিম্নমানের কন্টেন্ট দেখা শুরু করলে, মস্তিষ্কের সৃজনশীলতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা (hook text) কমে যেতে থাকে। এটি শুধু মানসিক চাপই বাড়ায় না, বরং অবচেতনভাবে ব্যক্তির আচরণেও পরিবর্তন আনে।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি ‘ব্রেইন রট’ শব্দটি উঠে এসেছে অক্সফোর্ড ডিকশনারির ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ (hook text)  হিসেবে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, গত বছরের তুলনায় শব্দটির ব্যবহার ২৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে। 

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এই শব্দের জনপ্রিয়তা সময়ের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। এটি দেখায় কীভাবে মানুষ তাদের সময় কাটায়? আর কীভাবে ভার্চুয়াল জীবন মানুষকে প্রভাবিত করে।

তবে জেনারেশন জেড এবং জেনারেশন আলফার মধ্যে এই শব্দটির ব্যবহারে বিশাল বৃদ্ধি দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

তবে ব্রেইন রট শব্দটির ইতিহাস বেশ পুরোনো। ১৮৫৪ সালে হেনরি ডেভিড তার বই ‘ওয়ালডেন’-এ প্রথম এটি ব্যবহার করেন। তখনও শব্দটির অর্থ ছিল—মানুষের মানসিক দক্ষতার অবনতি। তবে এখনকার যুগে এটি মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার নিম্নমানের কন্টেন্টের প্রভাব বোঝাতে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এর পাশাপাশি, কলিন্স ডিকশনারি ২০২৪ সালের তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে ‘ব্র্যাট’ শব্দটি নির্বাচন করেছে। যার মানে আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীন মনোভাব। এই দুটি শব্দই আধুনিক সমাজের অনলাইন জীবনের বিভিন্ন দিককে প্রতিফলিত করে। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে কি সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে? 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। 

আরটিভি/এফআই

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission