অর্থাভাবে অসহায় জীবনযাপন করছেন গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মাহাদীর পরিবার
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মাহমুদুল হাসান মাহাদীর পরিবার অর্থাভাবে অসহায় জীবনযাপন করছেন। স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনের সময় উত্তরায় বুলেটে মারা যান মাহমুদুল। তার বাবা-মা দুজনই অসুস্থ।
মাহাদীর পিতা আবদুস সাত্তার জানান, সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো সহায়তা পাননি তারা। সাত সদস্যের পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবারটি।
গত আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরই সবাইকে দমিয়ে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ফেসবুক লাইভ করেন মাহমুদুল হাসান মাহাদী। ওইদিন সকাল থেকেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ছিলেন তিনি। স্বৈরাচার পতনের পর বিজয় উৎসবে যোগ দেন মাহাদী। এ সময় ঘাতকের বুলেট তার বুক ভেদ করে বেরিয়ে যায়।
মাহমুদুল হাসান ছিলেন কোরানের হাফেজ। এ ছাড়াও তিনি মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন। মাহমুদুলের স্ত্রীর নাম বুশরা আক্তার। তাদের রয়েছে একমাত্র ছেলে ওসমান হাসান হোজাইফা।
বায়না করায় মাহমুদুল হাসান ছোটভাইকে সাইকেল কিনে দিয়েছিলেন। সাইকেল আছে ঠিকই কিন্তু ভাই নেই।
মাহমুদুলের বাবা মো. আবদুস সাত্তার জানান, ছেলের আয়েই সংসার চলতো। তিনি ইমামমতি করলেও অসুস্থতার কারণে এখন আর পারেন না। ঘরে স্ত্রীও অসুস্থ। দুই ছেলে এক মেয়েও লেখাপড়া করছে। আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।
নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে এখনো মামলা করেননি বলেও জানান তিনি।
আরটিভি/এফএ-টি
মন্তব্য করুন