চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের দেয়া ৪৩০ রান টপকে যাবার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট, কাইল মায়ার্স, জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও জশুয়া দ্য সিলভা বেশ ভুগিয়েছে টাইগার বোলারদের।
তবে বল হাতে মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে পরাস্থ হতে হয় ক্যারিবীয়দের। মিরাজের সঙ্গে ব্রেকথ্রু এনে দেন তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসনও।
ব্র্যাথওয়েট ৭৬, মায়ার্স ৪০, ব্ল্যাকউড ৬৮ আর সিলভার ৪২ রানে ভর করে ২৫৯ রান তোলে সব উইকেট হারায় উইন্ডিজ। ব্যাট হাতে শতকের ইনিংস খেলার পর মিরাজ নেন ৪টি উইকেট। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল এবং নাঈম।
আরও পড়ুন : টি-টেন কোয়ালিফায়ারে খেলা হচ্ছে না ৪ বাংলাদেশির
প্রথম ইনিংসের ১৭৭ রানে এগিয়ে থাকা স্বাগতিক দলের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার কথা ছিল স্বস্তিতে। কিন্তু না! উইন্ডিজ পেসার কেমার রোচের করা প্রথম ওভারটা কোনোমতে পার করা গেলেও দ্বিতীয় ওভারে ‘বিগ ম্যান’ খ্যাতি পাওয়া রাকিম কর্নওয়ালে বিধ্বস্ত হতে হয় তামিম ইকবাল আর নাজমুল হোসেন শান্তকে।
ওভারের প্রথম বলে এলবিডব্লুর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তামিম ইকবাল। প্রথম ইনিংসে ৯ রানে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ফিরেছেন খালি হাতে।
তামিমের বিদায়ে ব্যাট করতে নেমে একটা বল কোনোমতে সামলেছেন, পরের বলেই ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে থাকা জার্মেইন ব্ল্যাকউডের হাতে। প্রথম ইনিংসে ৫৮ বলে ২৫ রান করা শান্ত ধৈর্যহারা হয়েছেন দ্বিতীয় বলেই। তার খেসারতে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে সাজঘরে।
আরও পড়ুন : আইপিএলে সাকিবের পরবর্তী গন্তব্য কোথায়?
দলীয় ১ রানেই যখন ২ উইকেট নেই তখন ভরসা সাদমান ইসলাম আর মুমিনুল হক। দুজনের জুটিও টিকেনি বেশীক্ষণ। পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের করা বল ব্যাটে লেগে চলে যায় উইকেট রক্ষক সিলভার কাছে। সাদমানের সাজঘরে ফিরতে হয় ৫ (৪২) রান করে।
দিনের শেষ সেশনে আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি বাংলাদেশকে। মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে বাকি কটা ওভার শেষ করে দেন মুমিনুল টাইগার অধিনায়ক ৩১ আর মুশফিক ১০ রানে অপরাজিত থেকেছেন তৃতীয় দিন শেষে। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটেটে ৪৭ রান। এতে উইন্ডিজের সামলে লিড ২১৮ রানের।
উইন্ডিজের হয়ে রাকিম কর্নওয়াল নিয়েছেন ২৮ রানে ২ উইকেট, গ্যাব্রিয়েলের ১টি উইকেট।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফরের সূচী, ভেন্যুতে পরিবর্তন
এমআর/