৫৫ বছর পর আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতার দ্বারপ্রান্তে ছিল ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ সালে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ জিতেছিল থ্রি লায়ন্সরা। লন্ডনের এই মাঠেই নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউরোর ফাইনালে খেলতে নেমেছিল দলটি। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি ১-১ গোলে শেষ হয়। টাই ব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে ম্যাচটি জিতে নেয়া ইতালি।
ইংলিশদের হয়ে টাই ব্রেকারে শট নিতে এসে ব্যর্থ হন মার্কস রাশফোর্ড, জাডন সাঞ্চো ও বুকায়ো সাকা। তিনজনের পরিবারের সদস্যরা অভিবাসী হিসেবে দেশটিতে বসবাস করছেন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফরোয়ার্ড রাশফোর্ডের দাদি সেন্ট কিটসে জন্ম নেন। অন্যদিকে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে বেড়ে ওঠা সাঞ্চোর পরিবার পাড়ি জমান লন্ডনে। বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানইউতে যোগ দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। এছাড়া নাইজেরিয়া থেকে ইংল্যান্ডে চলে আসে আর্সেনাল তারকা সাকার বাবা-মা।
ইতালির বিপক্ষে শিরোপা খুব কাছ থেকে ফিরে আসার কারণে ইংলিশ সমর্থকদের দুয়ো শুনতে হয়েছে তিনজনকে। বর্ণবৈষম্যের শিকারও হয়েছেন তারা।
এমন পরিস্থিতিতে ফ্রান্স ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা পল পগবা তিনজনের পাশে দাঁড়ালেন।
আফ্রিকার দেশ গিনি থেকে অভিবাসী হিসেবে ফ্রান্সে বসবাস করছে পগবার পরিবার। ২০১৮ সালে বিশ্ব জয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এই মিডফিল্ডার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাশফোর্ড, সাঞ্চো ও সাকার উদ্দেশে পগবা বলেন, ‘তোমাদের জন্য আমি গর্ববোধ করি। কিছু জয় করতে হলে হারতেই হবে। পেনাল্টি নেয়ার মতো সাহস দেখিয়েছো। দলকে ফাইনালে তুলতে ভূমিকা রয়েছে তোমাদের। আমরা বর্ণবৈষম্য কিছুতেই সহ্য করতে পারি না। এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ কখনই থামবে না।’
তিন ইংলিশ ফুটবলারকে পল পগবা আরও বলেন, ‘তোমাদের উচিৎ মাথা উঁচু করে থাকা। তোমাদের আত্মবিশ্বাসই এই খেলাটির সৌন্দর্য। বিষয়টি কখনওই ভুলবে না। নিজেকে নিয়ে গর্বিত হও। বিশ্ব ফুটবল তোমাদের নিয়ে গর্ব করে।’
ওয়াই