ঘরোয়া ফুটবলে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ সংশ্লিষ্ট ৪ জনকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া দেশি-বিদেশী ১৪ খেলেয়াড়কে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ৫ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে দলটিকে। দুই বছরের জন্য প্রথম বিভাগে নামিয়ে দিয়েছে। এমনিতেই দলটি প্রিমিয়ার লিগ থেকে এরই মধ্যে অবনমন হয়েছে। আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগেও অংশ নিতে পারছে না তারা। প্রথম বিভাগে অংশ নিয়ে ওপরের লিগে উন্নতি হলেও তা কার্যকর হবে না।
রোববার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফের) পাতানো খেলা সনাক্তকরণ কমিটি এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এক বিবৃতিতে বাফুফে জানিয়েছে, আজীবন নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, আরামবাগের সাবেক সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ, সাবেক টিম ম্যানেজার গওহর জাহাঙ্গীর রুশো, সাবেক ফিটনেস ট্রেইনার ভারতীয় নাগরিক মাইদুল ইসলাম শেখ ও অ্যাসিস্টেন্ট টিম ম্যানেজার আরিফ হোসেন।
তাদের বিরুদ্ধে লাইভ বেটিং, স্পট ফিক্সিং, ম্যাচ ম্যানিপুলেশন ও অনলাইন বেটিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি বাফুফের পাতানো খেলা সনাক্তকরণ কমিটি।
এদিকে ক্লাবের সাবেক ভারতীয় ফিজিও সঞ্জয় বোস, ভারতীয় গেম অ্যানালিস্ট আজিজুল শেখকে ফুটবলীয় কার্যকলাপ থেকে ১০ বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে আরামবাগের সাবেক গোলরক্ষক আপেল মাহমুদকে ৫ বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন।
এছাড়া সাবেক খেলোয়াড় আবুল কাশেম মিলন, আল আমিন, মোহাম্মদ রকি, জাহিদ হোসেন, কাজী রাহাদ মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত, শামীম রেজা, ব্রাডি স্মিথকে (অস্ট্রেলিয়া) ৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন সাবেক খেলোয়াড় ওমর ফারুক, রাকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ফাহাদ, মিরাজ মোল্লা ও ক্রিস্টোফার চিজোবা (নাইজেরিয়া)।
ওয়াই