দারুণ ফর্মে সিলেটের ব্যাটাররা। বল হাতে খুব একটা সুবিধা না করতে পারলেও সিলেটের ব্যাটাররা খেলছেন দুর্দান্ত। গতকাল মিনিস্টার ঢাকাকে ১৭৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল লেন্ডিল সিমন্সের সেঞ্চুরিতে।
আজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দেয়া ২০৩ রানের লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে সিমন্স ৯ রানে ফিরলেও ওপেনার এনামুল হক ও কলিন ইনগ্রাম মিলে গড়েন লম্বা জুটি। দুজনের জুটি ভাঙ্গে ১১১ রান যোগ করে ইনগ্রামের ৫০ (৩৭) রানে ফেরায়।
এরপর এনামুল হক এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়ছিলেন দারুণভাবে। বিজয়ের ব্যাটে জয়ের আশা দেখছিল সিলেট। চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা আলাউদ্দিন বাবু ১ রান করে ফেরেন নাসুম আহমেদের বলে।
এরপর রবি বোপারাকে নিয়ে দ্রুত রান তুলছিলেন বিজয়। কিন্তু মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর পেস সামলাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন বিজয়। ৪৭ বলে ৭৮ করা বিজয়কে ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে ফেরান মৃত্যুঞ্জয়। পরের বলেই মোসাদ্দেক হোসেনকে শূন্য রানে, পঞ্চম বলে রবি বোপারাকে ১৬ রানে ফিরিয়ে আসরের প্রথম হ্যাট্রিক করেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
এখানেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৮৬ রানে থামে সিলেটের ইনিংস।
চট্টগ্রামের পক্ষে ৩ উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয়, ২ উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও ১ উইকেট নেন মেহেদী মিরাজ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কেনার লুইসকে ৮ রানে হারানোর পর উইল জ্যাকসের মাত্র ১৯ বলে ৫২ রানের ইনিংসে দারুণ শুরু হয় চট্টগ্রামের।
এরপর আফিফ হোসেনের ৩৮ (২৮), সাব্বির রহমানের ৩১ (২৯), বেনি হাওয়েলের ৪১ (২১) ও মেহেদী মিরাজের ৪ বলে ১৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে আসরে প্রথমবার ২০২ রান তুলে চ্যালেঞ্জার্সরা।
সিলেটের পক্ষে ১টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, সোহাগ গাজী, মোসাদ্দেক হোসেন, রবি বোপারা ও মুকতার আলী।
এম/