চলছে বিরাট কোহলিদের কোচ হওয়ার লড়াই। এ লড়াইয়ে সবচে’ এগিয়ে রয়েছেন রবি শাস্ত্রী। এমনটিই মনে করছেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনিল গাভাস্কার।
এনডিটিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে রবি শাস্ত্রীর হাত ধরেই ভারতীয় ক্রিকেটের পালাবদল শুরু। এরই মধ্যে সে নিজেকে প্রমাণ করেছে। তাই আমার মনে হচ্ছে, ভারতের পরবর্তী কোচ হওয়ার দৌড়ে সে-ই এগিয়ে।
অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষেই কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান অনিল কুম্বলে। সেই ফাঁকা পদ পূরণে পরপরই দরখাস্ত আহ্বান করে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। তাতে ব্যাপক সাড়াও পড়েছে। কোহলিদের কোচ হতে চেয়ে আবেদন করেছেন অনেক রথি-মহারথি। তবে কোচ হওয়ার দৌড়ে সবাইকে টপকে যাচ্ছেন রবি শাস্ত্রী।
ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ হারের পর ২০১৪ সালে ভারতের কোচিং ডিরেক্টর হন শাস্ত্রী। এরপর বদলে যায় টিম ইন্ডিয়া। তার অধীনে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২২ বছর পর টেস্ট সিরিজ জেতে ভারত। দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জেতে কোহলিরা। ২০১৬ সালে এশিয়া কাপ জয়ও তার হাত ধরে পায় ভারত।
ভারতের সাবেক লিটল মাস্টার সুনিল গাভাস্কার বলেন, ভারতের কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে শাস্ত্রীই। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডে হারের পর তার হাত ধরেই ভারতীয় ক্রিকেটের বাঁকবদল শুরু। ওই সফরের পর বোর্ড তাকে দলের কোচিং পরিচালক হওয়ার আমন্ত্রণ জানায়। দায়িত্ব নিয়েই ভারতকে জয়ের ধারায় ফেরায় সে। সেদিক খেয়াল করলে বা তা বিচার বিশ্লেষণ করলে তার কোচ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
কোচ হওয়ার দৌড়ে শাস্ত্রীকে এগিয়ে রাখছে আরো একটি বিষয়, তা হচ্ছে-বিরাট কোহলির সঙ্গে তার দারুণ সম্পর্ক। কোচ নিয়োগে উপদেষ্টা কমিটির পাশাপাশি ভারতের বর্তমান অধিনায়কেরও মতামত প্রাধান্য পাবে।
ভারতের কোচ হতে চেয়ে আবেদনের শেষ তারিখ ৯ জুলাই। আর ১০ জুলাই কোচ বাছাইয়ে বসবেন শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি ও ভিভিএস লক্ষ্মনের উপদেষ্টা কমিটি। এখন দেখা যাক, ভারতীয় ক্রিকেটে সবচে’ লোভনীয় ও ক্ষমতাধর পদে কাকে মনোনীত করেন তারা।
ডিএইচ