ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

ওদের চারটি, আমাদের নেই: তামিম

ক্রীড়া প্রতিবেদক, আরটিভি নিউজ

সোমবার, ০৮ আগস্ট ২০২২ , ১০:০১ এএম


loading/img
সিরিজ হারের পর মাঠ ছাড়ছে বাংলাদেশ দল

ওয়ানডেতে উড়তে থাকা বাংলাদেশকে মাটিতে নামালো জিম্বাবুয়ে। গত ৯ বছরে জিম্বাবুয়ের কাছে একবারও সিরিজ না হারা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত হেরেছে। হারারেতে স্বাগতিকরা টানা দুটি ম্যাচ জিতেছে যেন একই চিত্রনাট্যে। একই ভাবে দুটি জয়, দুটি ম্যাচেই জয়ের নায়ক সিকান্দার রাজা। অপরাজিত দুটি সেঞ্চুরি করে রাজার বেশে মাঠ ছেড়েছেন।

বিজ্ঞাপন

রাজা একা নন, সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ইনোসেন্ট কাইয়া এবং রেগিস চাকাবা। প্রথম ম্যাচে রাজা-কাইয়ার ১৯২ রানের জুটির পর দ্বিতীয় ম্যাচে রাজা-চাকাবার ২০১ রানের জুটি। দুটিই জিম্বাবুয়ের রেকর্ড জুটি। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট সুদিনে ফেরার দারুণ রসদ বলা যায় এই দুইটা ম্যাচকে।

কেন হারলো বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের জয়টা মানা গেলেও দ্বিতীয় জয়টা মানতে পারছেন না অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দুই দলের পার্থক্যের জায়গাটা কোথায় সেটিও বের করেছেন টাইগার অধিনায়ক।

ম্যাচ শেষে তামিম বলেছেন, ‘আমার মনে হয় পার্থক্যটা এখানে, ওদের চারটি (সেঞ্চুরি), আমাদের নেই। এটাই বড় পার্থক্য।’

তামিম ইকবালের ব্যাটে ইনিংসের শুরুটা ছিল দারুণ। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে একের পর এক বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে তুলে নেন অর্ধশতক। যদিও এর বেশি লম্বা করতে পারেননি ইনিংস।

বিজ্ঞাপন

তামিমের বিদায়ের পর বদলে যায় দৃশ্যপট। যদিও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৮০ আর আফিফ হোসেনের ৪১ রানের ইনিংসে ২৯১ রানের লড়াই করার পুঁজি পায়।

তামিম বলেন, ‘ভালো একটা স্কোর গড়েছিলাম। শুরুটা ভালো হয়েছিল, কিন্তু চালিয়ে যেতে পারেনি। ছোটখাটো একটা ধসের পর মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ ভালো করেছিল। ২৯১ রানও ভালো স্কোরই ছিল, আমার বোলিংয়ে লড়াই করার মতো কিছু পেয়েছিলাম।’

Sikandar Raza leaps on completing a century, Zimbabwe vs Bangladesh, 2nd ODI, Harare, August 7, 2022

অবশ্য দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর আফসোস ২০ রানের। তার মতে আর কুড়িটা রান করলে ম্যাচের চিত্র হতো ভিন্ন।

‘জিম্বাবুয়েকে কৃতিত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রাজাকে। দুটি দারুণ ইনিংস খেলেছেন চাপের মুখে। গতকাল হয়তো ২০ রান কম করেছি। আজও ২০ রানের মতো কম করেছি। আর বিকালে এমন স্কোর ডিফেন্ড করা খুবই কঠিন। তবে কোনো অজুহাত দিতে চাই না।’

ডমিঙ্গো অবশ্য ব্যর্থতার দায় পুরোপুরি ব্যাটারদের দিতে চাইছেন না। ছন্নছাড়া ছিল বোলিংও। ডমিঙ্গো মনে করেন, বোলাররা চাপ নিতে পারেননি।

‘দুটি ম্যাচেই ৬০/৩, ৪০/৪ ছিল। ছেলেরা চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। বেশি আলগা বল করে ফেলেছে, ভুল ফিল্ডিংয়ে বল করেছে। ভুল অপশন বেছে নিয়েছে। তারা চেষ্টা করছে অনেক, তবে ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারছে না। এটিই সবচেয়ে হতাশাজনক। ভালো দল আপনাকে শাস্তি দেবেই।’

তবে সব ছাপিয়ে তামিমের চাওয়া শেষ ম্যাচে জয়। কেন না, এই ম্যাচগুলো ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ না হওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচা গেলেও মান রক্ষার জন্য লড়বে বাংলাদেশ।

‘আমাদের আসলে আরও ভালো খেলতে হবে। সেরাটা খেলতে হবে। এখন পর্যন্ত সেরাটা খেলিনি। এ কারণেই এ পরিস্থিতিতে পড়েছি আমরা।’

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |