‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুর মূলত স্পিনবান্ধব উইকেট হিসেবেই বিশ্ব ক্রিকেটে পরিচিত। তবে সেই শেরে-ই-বাংলা স্টেডিয়ামেই এবার দেখা মিলেছে সবুজ ঘাসের। এতে হতবাক অনেক ক্রিকেট-বোদ্ধা। সবাই অবাক হলেও আনন্দেই ভাসছেন পেসাররা। তাসকিন-এবাদত-শরিফুলদেরও যে এমন উইকেটে মাঠ মাতানোর স্বপ্ন ছিল, আর তা অবশেষে পূরণ হচ্ছে!
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সফরের একমাত্র টেস্টে উইকেটের যথার্থ ব্যবহারও করে দেখিয়েছেন লাল-সবুজের পেসাররা। তবে একাই লড়াই করেছেন বাংলাদেশের নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ব্যাট থেকেই এসেছে ১৪৬ রান। আর শান্তর এই রানও টপকাতে পারেনি সফরকারীরা।
অন্যদিকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে চার উইকেট তুলে নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন টাইগার পেসার এবাদত হোসেন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সংবাদ সম্মেলনে তার দাবি, পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারছি, এটাই বড়।
এবাদতের ভাষ্য, আমার দেখা বাংলাদেশে প্রথম এ রকম উইকেট আমরা পেয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা যে, তিন ফাস্ট বোলার টেস্টে, এ রকম উইকেটে খেলা আমাদের অনেক বড় সৌভাগ্য। আমরা চেষ্টা করছি, ওদের যত কম রানে আউট করা যায়। আসলে পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারছি, এটাই সবচেয়ে বড় জিনিস।
এ পেসারের মন্তব্য, উইকেট থেকে বাউন্স আদায়ই শুধু নয়, বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়েই সফল হতে হয়েছে। বাউন্স তো আমরা পরিকল্পনা করে আদায় করতে পারব না। বাউন্স পেয়েছি উইকেট থেকে। যেহেতু উইকেটে বাউন্স আছে, পেস আছে; আমরা সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। আমরা বাউন্স ও পেস কাজে লাগিয়েছি, ওরাও এই জায়গায় সংগ্রাম করে।
তিনি আরও যোগ করেন, আমি কিন্তু শুধু বাউন্স করে উইকেট পাইনি। সামনে বল ফেলে ব্যাটারকে দ্বিধায় ফেলেছি। এরপর সারপ্রাইজ বাউন্স। আগে ইনসুইং, আউটসুইং, বাউন্সার ওভারে ২ থেকে ৩টা করতাম।
তবে আক্ষেপের কথাও জানালেন এ পেসার। তার মতে, পাঁচ উইকেট হয় নাই। তবে আমরা দুই ওভার পিছনে ছিলাম, আমরা যদি পিছায় থাকি। তাহলে তো সমস্যা, এজন্য ক্যাপ্টেন চাইছে দুই পাশ থেকে দুজন স্পিনার দিয়ে শুরু করবো। যেহেতু টিম ফার্স্ট; সেদিক দিয়ে ঠিক আছে। যেহেতু ব্যক্তিগত অর্জনের দিক থেকে আমার কাছে দলের চাওয়াটা বড় বিষয়।