ছোট পর্দায় আজ যেসব খেলা
টেলিভিশনের পর্দায় আজ দেখবেন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের জিম্বাবুয়ে বনাম যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচ। এ ছাড়া নারী অ্যাশেজের শেষ দিনে আজ মাঠে নামবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
চলুন একনজরে দেখে আসি টেলিভিশনে আজ দেখা যাবে যেসব খেলা।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট বাছাইপর্ব
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র
দুপুর ১টা, গাজী টিভি ও স্টার স্পোর্টস ১
মেয়েদের অ্যাশেজ (শেষ দিন)
ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া
বিকেল ৪টা, সনি স্পোর্টস ৫
প্রো হকি লিগ
নিউজিল্যান্ড-জার্মানি (পুরুষ)
রাত ৯ টা ১০, স্টার স্পোর্টস ২
নেদারল্যান্ডস-জার্মানি (নারী)
রাত ১১-৪০ মি., স্টার স্পোর্টস ২
মন্তব্য করুন
হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন রনি তালুকদার
আগামী ৮ জুন শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। তবে টাইগারদের মাথার ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে টপ-অর্ডারের ব্যর্থতা। তাই কয়েক দিন থেকে গুঞ্জন উঠেছে টাইগারদের ব্যাটিং অর্ডারে বড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার (৪ জুন) মধ্যরাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন টাইগার ওপেনার রনি তালুকদার। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে রনি নিজেই।
তাই দুয়ে দুয়ে চার মেলালে বোঝা যায় টাইগারদের বিশ্বকাপ দলে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে হয়তো। তবে বিসিবি থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তার খেলা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। তাহলে কি একজন বোলারের পরিবর্তে বাড়তি ব্যাটার রাখতে যাচ্ছে টাইগার ম্যানেজমেন্ট।
রনির এই যুক্তরাষ্ট্রের যাত্রা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা। তবে শেষ পর্যন্ত দেখা যাক বিসিবি থেকে কি সিদ্ধান্ত জানাই।
বোমা ফাটালেন ইমরুল কায়েস / ‘ভালো খেলেও বাদ পড়েছিলাম, কারণ জানতে চাওয়াটাই বড় সমস্যা ছিল’
সম্প্রতি সময়ে ওপেনার সংকটে ভুলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অথচ অবহেলার শিকার না হলে তামিমের পরেই দেশসেরা ওপেনার তালিকায় থাকতেন ইমরুল কায়েস। দিনের পর দিন ভালো খেলেও জায়গা পাননি জাতীয় দলে। তবে এবার জাতীয় দলে পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ায় বিসিবিকে ধুয়ে দিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
বৃহস্পতিবার ( ৬ জুন) এক সাক্ষাৎকারে নিজের জাতীয় দলের উত্থানপতন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন কায়েস।
বাংলাদেশ দলে এমন অনেকেই আছে যারা দিনের পর দিন সুযোগ পাচ্ছে তবুও ভালো করতে পারছে না। কিন্তু তারা বাদ পড়ছে না। অথচ কিছু ক্রিকেটার এক বা দুই ম্যাচ খারাপ করলেই দল থেকে বাদ পড়ে।
বিসিবির এই মনোভাব পরবর্তী বা তরুণ ক্রিকেটারদের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে এই প্রশ্ন করা হয় কায়েসকে। জবাবে এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বলেন, অবশ্য খারাপ প্রভাব ফেলবে। কারণ, আপনি একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার ভালো করতে গিয়ে, আর পাঁচ জনের ক্যারিয়ার খারাপ করছেন।
এ সময় নিয়ে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া এবং বাদ পড়া নিয়ে কায়েস বলেন, আমি বলব না যে, আমি আমি সুযোগ পায়নি। আমি সুযোগ পেয়েছি, যখন আইএসএলে সবাই চলে গেল। তখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাইপ লাইনে কোনো খেলোয়াড় ছিল না।
‘আমি তখন টেস্ট খেলা জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু নির্বাচকরা আমাকে টেস্ট খেলিয়ে দিয়েছে। আমি ভালো খেলেছি। তবে আমাকে যখন বাদ দেওয়া হয়েছে,তখন আমি সেরা সময়ে ছিলাম। আমি জানি না আমি কি কারণে বাদ পড়েছি।’
সে সময় দল থেকে বাদ পড়ার কারণ জানতে চাওয়ায় নাকি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই ব্যাটারের। তিনি বলেন, আমি এটা জানতে চেয়েছিলাম, আমি কেনো বাদ পড়লাম। এটাই আমার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আপনার তো উচিত বিষয়টা জানানো, কারণ এটা আমার ক্যারিয়ার, আমার তো অধিকার আছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে নির্বাচন ব্যবস্থা এবং অনিয়মের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, একজন নির্বাচক আমাকে বলেছিলেন, তুমি টেস্ট নিয়ে চিন্তা করো না। আমরা তোমাকে টেস্টে ভাবছি না। কিন্তু আবার পরের সিরিজের টেস্ট দলে দেখছি যে আমি আছি।
‘আবার ওয়ানডেতে আমি ভালো খেলেও বাদ পড়েছি। আমি সেঞ্চুরি করেছি, আমাকে ডুবাই নিয়ে গেছে ভালো খেলেছি। তাও দেখি আমি বাদ।’
তিনি আরও বলেন, আমি এই কারণে বিষয়গুলো খোলামেলা বলছি; কারণ, আমি হয়তো আরও ভালো খেলোয়াড় হতে পারতাম। যদি আমাকে বলে দিতো, যে তুমি এই তিন বছর বা চার বছর টেস্ট না শুধু ওয়ানডে নিয়ে চিন্তা কর।
২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ে সিরিজে ডাক পেয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। তিন ম্যাচের সিরিজের দুটিতে সেঞ্চুরি এবং একটিতে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এতে সিরিজ সেরা হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে অবিশ্বাস্য ভাবে পরের সিরিজেই বাদ পড়েন কায়েস।
মেসিকে নিয়ে ভোরে মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা, যেভাবে দেখবেন
আগামী ২১ জুন থেকে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকা। এই দুই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে নিজেদের প্রস্তুত করতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলছে দলগুলো। পিছিয়ে নেই টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট দল ও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাও।
নিজেদের প্রথম প্রীতি ম্যাচে সোমবার (১০ জুন) ভোরে ইকুয়েডরের বিপক্ষে মাঠে নামবে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় শুরু হবে। এই ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরবেন লিওনেল মেসি।
মেসিদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ গুয়েতেমালা। আগামী ১৫ জুন সকাল ৬টায় শুরু হবে দুই দলের লড়াই। এরপর ২১ জুন কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার মিশন।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা রয়েছে দুর্দান্ত ফর্মে। সবশেষ প্রীতি ম্যাচে মার্চে কোস্টারিকার বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় পায় তারা। এর আগে, নভেম্বরে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা।
অপরদিকে, ইকুয়েডরও রয়েছে ধারাবাহিক ফর্মে। সবশেষ খেলা পাঁচ ম্যাচে হেরেছে মাত্র একটিতে। ইতালির বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে হারলেও আগের দুই ম্যাচে চিলি ও গুয়েতেমালার বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে তারা। বাকি দুই প্রতিপক্ষ ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার সাথে গোলশূন্য ড্র করেছে দলটি।
প্রসঙ্গত, কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বে মেসিদের প্রতিপক্ষ কানাডা, চিলি ও পেরু। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ২১ জুন বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় কানাডা, ২৬ জুন দ্বিতীয় ম্যাচে চিলি ও ৩০ জুন পেরুর মোকাবিলা আলবেসেলেস্তেরা।
ম্যাচটি যে দেখবেন যেভাবে : কোনো চ্যানেলে ম্যাচটি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি দেখাবে না। তবে অনলাইনে খেলা দেখার সুযোগ থাকছে। ম্যাচটি উপভোগ করা যাবে ভিইউস্পোর্ট স্ট্রিমিং ও সিবিএস স্পোর্টস গোলজো নেটওয়ার্কে।
এ ছাড়াও অ্যাস্ট্রো সুপারস্পোর্ট, টিওয়াইসি স্পোর্টস, টেলিভিশন পাবলিকা, মোভিস্টার, ফিফা প্লাস এবং ইউটিউব ও ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ-পেজেও দেখা যাবে ম্যাচটি।
বিতর্কিত ডেড বল আইনেই বাংলাদেশের হার, দাবি ওয়াকারের
নাটকীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ রানের পরাজয় দেখেছে বাংলাদেশ। লো স্কোরিং ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইও করেছে লাল-সবুজেরা। তাই হার নিয়ে আক্ষেপ থাকার কথা না টাইগার সমর্থকদের।
তবে বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে আক্ষেপ ক্রীড়াপ্রেমীদের। তাওহীদ হৃদয়ের আউটসহ ক্রুসিয়াল মোমেন্টে বিতর্কিত ডেড বল আইনে কপাল পুড়েছে বাংলাদেশের। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ওয়াকার ইউনুস।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ওয়াকারের ভাষ্য, ‘আম্পায়ারের এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্তে বিতর্কিত ডেড বলের আইনটি বদলানো উচিত। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে লো স্কোরিং থ্রিলারে বাংলাদেশের ক্ষতি করে দিয়েছে এটাই।’
যা ঘটেছিল :
ইনিংসের ১৭তম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি পেসার ওটেনিল বার্টম্যানের একটি ডেলিভারি ফ্লিক করতে গেলে প্যাডে লেগে যায় মাহমুদউল্লাহর। আবেদন হলে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিভিউতে দেখা যায়, বল লেগ-স্ট্যাম্প মিস করেছে। ফলে বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ।
এদিকে তার প্যাডে লেগে বল বাউন্ডারি পার হয়ে গিয়েছিল। লেগবাই ৪ রান পেতো বাংলাদেশ। কিন্তু আম্পায়ার শুরুতে আউট দেওয়ায় বল ডেড হয়ে বাতিল হয়ে যায় সেই ৪ রান।
উল্লেখ্য, সোমবার (১০ জুন) আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১১৪ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান তুলতে পারে টাইগাররা। এতে ৪ রানের হার নিয়ে বাংলাদেশকে মাঠ ছাড়তে হয়।
ডেডবল নাকি ৪, যা বলছে ক্রিকেট আইন
লো-স্কোরিং ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে জয়ের স্বপ্ন বুনেছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত স্বপ্নভঙ্গ হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। বিতর্কিত ডেড বল আইনের মারপ্যাঁচে ৪ রানে হেরেছে শান্ত বাহিনী।
ইনিংসের ১৭তম ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচের পরিস্থিতিও টাইগারদের নাগালেই ছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি পেসার ওটেনিল বার্টম্যানের একটি ডেলিভারি ফ্লিক করতে গেলে মাহমুদউল্লাহর প্যাডে লেগে যায়। অনেকটা দ্বিধা নিয়েই আঙুল তুলেছিলেন অনফিল্ড আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কি। এতে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিভিউতে দেখা যায়, বল লেগ-স্ট্যাম্প মিস করেছে। ফলে বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ।
রিয়াদের প্যাডে লেগে বল বাউন্ডারি পার হয়ে গিয়েছিল। লেগবাই হিসেবে ৪ রান পেত বাংলাদেশ। কিন্তু আম্পায়ার শুরুতে আউট দেওয়ায় বল ডেড হয়ে বাতিল হয়ে যায় সেই ৪ রান। শেষ পর্যন্ত ওই ৪ রানেই হেরেছে বাংলাদেশ।
এদিকে হারের কারণ হিসেবে আম্পায়ারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। সাবেক ক্রিকেটাররাও আম্পায়ারিংয়ের সমালোচনায় মেতেছেন। তবে ডেডবল সংক্রান্ত ক্রিকেটের আইন অবশ্য আম্পায়ারের পক্ষেই কথা বলছে।
ক্রিকেটের ২০.২ ধারায় বলা আছে, ম্যাচে ‘ডেড বল’ নির্ধারণের ক্ষমতা কেবলই আম্পায়ারের; ‘বল শেষ পর্যন্ত মীমাংসা (ওই ডেলিভারির খেলা) হয়েছে কি না, তা সিদ্ধান্ত নেবেন আম্পায়ার।’
প্রাসঙ্গিক আরেকটি ধারায় (২০.১.১.১) বলা হয়েছে, বল তখনই ‘ডেড’ হবে, যখন তা উইকেটরক্ষক কিংবা বোলারের হাতে জমা পড়বে।
সেই ধারায় আরও বলা আছে, ‘বোলিং প্রান্তের আম্পায়ার যখন বুঝতে পারবেন, ফিল্ডিং দল ও ব্যাটারদের খেলা থেমেছে, তখনই সেটা ডেড বল।’
এদিকে ২০.১.১.৩ ধারাও বাংলাদেশের বিপক্ষে যেতে পারে। যেখানে বলা আছে, যে মুহূর্তে বলের সাপেক্ষে আউটের সিদ্ধান্ত আসবে, সেই মুহূর্ত থেকে এটি ডেডবল ঘোষণা করা হবে। এর অর্থ, আম্পায়ার আবেদনে আঙুল তোলার পরই সেটি ডেডবলই ছিল।
সুপার এইট নিশ্চিত হলে প্রতিপক্ষ হিসেবে যাদের পাবে বাংলাদেশ
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পেলেও, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের তিতো স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। এতে করে বিশ্বকাপে সুপার এইটের সমীকরণ অনেকটা কঠিন হয়ে গেছে বাংলাদেশের। তবে অসম্ভবও কিছু না টাইগারদের জন্য।
গ্রুপ ‘ডি’ থেকে টানা তিন ম্যাচে জয় তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা সবার আগে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে। গ্রুপ সিডিংয়ে তাই চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ‘ডি’ থেকে সুপার এইটে যাবে তারা। আর বাংলাদেশ যদি সুপার এইটে যায় তাহলে ‘ডি’ থেকে রানার্সআপ হিসেবে যাবে। গত দুই আসরের মত পূর্ব নির্ধারিত সিডিং অনুযায়ী ঠিক হবে সুপার এইটের গ্রুপ।
গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের এখানও ম্যাচ বাকি আছে দুইটি ম্যাচ। যেখানে ১৩ মে প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস এবং ১৭ মে প্রতিপক্ষ নেপাল। এই ম্যাচ দুটিতে জিতলেই সুপার এইট নিশ্চিত হবে নাজমুল হোসেন শান্তদের।
আর যদি একটি হারে ও একটিতে জয় নিয়ে মাঠ চাড়ে তখন রান রেটের মারপ্যাচে পড়তে হবে। তাই দুটি জিতেই গ্রুপ ডির দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করতে চাইবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সুপার এইটে গেলে আইসিসির নির্ধারিত গ্রুপ-১ তে জায়গা পাবে বাংলাদেশ। যেখানে বাংলাদেশের সঙ্গী হবে ‘এ’ এবং ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল। আরেকটি দল হলো ‘বি’ রানার্স আপ দল।
সুপার এইট
গ্রুপ ১: এ১, বি২, সি১, ডি২
গ্রুপ ২: এ২, বি১, সি২, ডি১
তাই ডি গ্রুপে রানার্স হিসেবে সুপার এইটে উঠলে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ হবে স্কটল্যান্ড। কারণ, বি গ্রুপে ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইট অনেকটা নিশ্চিত স্কটিশদের। কারণ, টানা দুই হারে কপাল পুড়েছে ইংল্যান্ডের। আর টানা দুই ম্যাচ জিতেছে অজিরা। পরের দুই ম্যাচ হলো স্কটল্যান্ড এবং নামিবিয়া এবং স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। তাই বি গ্রুপ থেকে অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে তা বলায় যায়।
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ম্যাচে লড়াই করতে হবে ভারতের বিপক্ষে। কারণ, এ’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবেই সুপার এইটে পা রাখতে যাচ্ছে রোহিত শর্মার দল।
অন্যদিকে টাইগারদের সেমিফাইনালে ওঠার শেষ সমীকরণটা মেলাতে হতে পারে আফগানিস্তান অথবা স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে যে কোনো এক দলের বিপক্ষে। কারণ, টানা দুই ম্যাচ জিতে সুপার এইটে ওঠার লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছে এই দুই দল।
আফগানিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। সেই সঙ্গে রয়েছে রান রেটের বড় ধাক্কা। তাই বড় কোনো অঘটন ছাড়া কিউইদের সুপার এইটে ওঠার প্রায় অসম্ভব।
সুপার এইটে বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ও সূচি:
২১ জুন বি২ (স্কটল্যান্ড) -ডি২ (বাংলাদেশ) সকাল ৬টা ৩০ মিনিট
২২ জুন এ১ (ভারত) -ডি২ (বাংলাদেশ) রাত ৮টা ৩০ মিনিট
২৫ জুন (আফগানিস্তান)-ডি২ (বাংলাদেশ) সকাল ৬টা ৩০ মিনিট
বড় দুঃসংবাদ পেলেন সাকিব
দুঃসময়ের সংজ্ঞাটা আসলে কী! খারাপ সময়ে পড়ার আগে কখনও কি ভেবেছেন কেউই! না, অবশ্যই না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে হাড়ে হাড়ে বিষয়টি টের পাচ্ছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার ব্যাটে রান নেই, বোলিংয়েও আস্থা হারিয়েছেন।
সাংবাদিকের ফোন কেড়ে পুলিশকে দিয়ে মাঠের বাইরেও জড়িয়েছেন নানারকম সমালোচনা আর নেতিবাচক শিরোনামে। এবার বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত আরও এক দুঃসংবাদ পেয়েছেন সাবেক এই টাইগার দলপতি। আইসিসি টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান খুইয়েছেন ব্যাটে-বলে নিষ্প্রভ সাকিব।
বুধবার (১২ জুন) র্যাঙ্কিংয়ের হালনাগাদ প্রকাশ করে আইসিসি। যেখানে অবনমন হয়েছে সাকিবের। এতে শীর্ষস্থান থেকে এক ধাক্কায় পঞ্চম স্থানে নেমে গেছেন বাংলাদেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।
সাকিবকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠেছেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি, শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিস। এই তালিকায় জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজাও আছেন, যেই ক্রিকেটারের বিশ্বমঞ্চে খেলার সৌভাগ্যও হয়নি।
২৩১ রেটিং পয়েন্টে এই তালিকায় রাজত্ব করছেন আফগান অলরাউন্ডার নবি। ২২৫ রেটিং পয়েন্টে দুইয়ে মার্কাস স্টয়নিস, ২১৬ রেটিং পয়েন্টে তিনে লঙ্কান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং ২১০ রেটিং পয়েন্টে সাকিবের ওপরেই আছেন রাজা। রোডেশিয়ান অধিনায়ক থেকে দুই পয়েন্টে পিছিয়ে পাঁচে সাকিব।
শীর্ষে থাকা নবির সঙ্গে সাকিবের পার্থক্য ২৩ রেটিং পয়েন্ট। তাই সাকিবের এখন ঘুরে দাঁড়ানোও কঠিন। কেননা, ব্যাটে-বলে সাকিব এমন একটা মলিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, যেখানে অনেকেই তাকে একাদশের বাইরেও রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। অতীতে ব্যাটে না হয়, বল হাতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ অবদান রেখেছেন সাকিব। তবে গত কয়েক ম্যাচ ধরেই একেবারেই অনুজ্জ্বল সাবেক বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।