ব্যাট হাতে দিমুথ করুনারত্নের দুর্দান্ত শতক, এরপর বল হাতে হাসারাঙ্গার পাঁচ উইকেট লাভ। আর তাতেই ২০২৩ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন চোখের পলকে ধূলিস্যাৎ হয়ে গেল আয়ারল্যান্ডের। টানা তিন ম্যাচ হারায় বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হলো আইরিশদের।
বাছাইপর্বের নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে করুনারত্নের সেঞ্চুরি আর সাদিরা সামরাউইক্রিমার ৮২ রানে ভর করে আয়ারল্যান্ডের সামনে ৩২৫ রানের পুঁজি দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু এই ম্যাচেও দুর্ভাগ্যকে পিছু ছাড়াতে ব্যর্থ হয় আইরিশরা।
বাছাইপর্বের প্রথম দুই ম্যাচে লড়াই করে হারলেও লঙ্কানদের বিপক্ষে একেবারেই ধসে পড়ে আইরিশদের ব্যাটিং লাইন আপ। এক হাসারাঙ্গার স্পিন বিষে নীল হয়ে মাত্র ১৯২ রানেই গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। আর সেই সুবাদে ১৩৩ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শ্রীলঙ্কা।
পাশাপাশি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার আশা একেবারেই শেষ হয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের।
আইরিশদের স্বপ্নভঙ্গের দিনে নতুন এক রেকর্ড গড়েছেন লঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। টানা তিন ম্যাচে তিনি শিকার করেছেন পাঁচটি করে উইকেট। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচ খেলে তিনি ঝুলিতে পুরেছেন ১৬টি উইকেট।
বুলাওয়েতে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ রানে দুই উইকেট হারালেও কারুনারত্নে ও সামরাউইক্রিমার ১৬৮ রানের জুটিতে ভর করে বড় সংগ্রহের দিকে এক পা দিয়ে রাখে শ্রীলঙ্কা। সামরাউইক্রিমা ৮২ রানে থামলেও কারুনারত্নে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
১০৩ রান করে কারুনারত্নে সাজঘরে ফিরলে বাকি কাজটা সারেন চারিথ আশালাঙ্কা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। আশালাঙ্কার ৩৮ ও ডি সিলভার ৪২ রানে ভর করে সবগুলো উইকেট হারিয়ে আইরিশদের সামনে ৩২৫ রানের পুঁজি দাঁড় করায় লঙ্কানরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২১ রানে শুরু হওয়া উইকেট পতনের লাগাম টেনে ধরতে পারেননি আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররা। লাহিরু কুমারার হাত ধরে উইকেট পতন শুরু হয়ে তা থামে হাসারাঙ্গার হাতে। টানা তিন ম্যাচে ফাইফার বাগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি ডানহাতি এই স্পিনার ধসিয়ে দেন আইরিশদের ব্যাটিং লাইন আপ।
বাছাইপর্বের ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার সিক্স নিশ্চিত হয়েছে শ্রীলঙ্কা, স্কটল্যান্ড ও ওমানের। আর ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুপার সিক্সের টিকিট কেটেছে জিম্বাবুয়ে, নেদারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।