বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ক্যাম্প বয়কট সাবিনাদের
সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। একে তো রীতিমতো গলার কাছে ছুড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে ফিফা। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে যেকোনো সময় কাটা পড়তে পারে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের ‘গলা’। মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে এসেছে নারী ফুটবলারদের ক্যাম্প বয়কট করাটা।
বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ক্যাম্প বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতীয় দলের নারী ফুটবলাররা। দাবি না-মানা পর্যন্ত ক্যাম্পে যোগদান করবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।
বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন নারী দলের ফুটবলাররা। নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার পর ছুটিতে গিয়েছিলেন তারা। ছুটি কাটিয়ে আগামী ৩১ জুলাই ফের ক্যাম্পে যোগদানের কথা ছিল সাবিনা-সানজিদাদের। কিন্তু ছুটিতে যাওয়ার আগে ফেডারেশনের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের কাছে লিখিত আকারে দিয়ে যাওয়া নিজেদের দাবি-দাওয়াগুলো না-মানা পর্যন্ত ক্যাম্পে যোগ দেবেন না বলে একযোগে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফুটবলাররা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় দলের এক ফুটবলার বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো লিখিত আকারে দিয়ে গিয়েছিলাম ছুটিতে যাওয়ার আগে। দেখেন, আমাদের বেতন দেয় এখন ফেডারেশন থেকে ১০ হাজার টাকা। এতে কী হয় বলেন। দাবিগুলো মেনে না-নেওয়া পর্যন্ত আমরা ক্যাম্পে আসব না।’
বাফুফে থেকে ১০ হাজার টাকা বেতন পান জাতীয় দলের নারী ফুটবলাররা। অভিযোগ রয়েছে তাদের বেতনটাও নিয়মিত হয় না। দুই মাস তিন মাস পরপর একমাসের বেতন দেয় ফেডারেশন। ফুটবলারদের দাবি বেতন ন্যূনতম ৫০ হাজার করা।
এ নিয়ে চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো ‘বিদ্রোহ’ করলেন নারী ফুটবলাররা। এর আগে বছরের শুরুতে বিসিবি ও বাফুফের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার ঘোষণা দেওয়া অর্থ না-পাওয়ায় অলিম্পিক বাছাইয়ের অনুশীলন বন্ধ রেখেছিলেন ফুটবলাররা।
এরপর অর্থের অভাবে এই দলকেই অলিম্পিকের বাছাইয়ে পাঠাতে পারেনি বাফুফে। সেই থেকেই ‘শনির কালো ছায়া’ পড়ে বাফুফের ওপর। যে ছায়া এখনও পিছু ছাড়েনি বাফুফের।
মন্তব্য করুন